মিরপুর প্রতিনিধিঃ
কালসি রোডে আড়াই কাঠা প্লটে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বসবাস করা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে আজ হঠাৎ উচ্ছেদ করা হয়। রাতে কোথায় থাকবেন এ পরিবার জানেনা তারা। এখন সবাই রাস্তায়।
বৃহস্পতিবার, সরজমিনে দেখা যায় রাজধানীর মিরপুর পল্লবী থানাধীন কালসী রোডে অনেক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা, মিরপুর হাউজিংয়ের কর্মকর্তা রাদি উজ্জামান সহ প্রায়ই আশেপাশে শতশত লোকজন। ভেকু চালককে বাড়ী ভাঙ্গার নির্দেশনা দিচ্ছেন রাদী উজ্জামান।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের আকুতি মিনতি কোনো কাজেই আসেনি। ৫০ বছর ধরে গোছানো সংসার সাড়ে তিন ঘন্টার অভিযানে ধ্বংস।
মিরপুর হাউজিংয়ের কর্মকর্তা রাদি উজ্জামান, পল্লবী থানার প্রশাসন ছাড়াও বসতভিটার দেওয়াল, দোকান ঘর, ৬টা বসত ঘর, ভাঙ্গার জন্য ভাড়া করে আনা হয় অর্ধশতাধিক লেবার।
দখলদাররা বাড়ী ছাড়তে রাজি না হলে পুলিশ তাদের মারধর করে। এমনকি জোরপূর্বক দোকানে অনধিকার প্রবেশ করে তাদের মালপত্র পায়ের নিচে ফেলে বুট দিয়ে চাপতে থাকতে। ভুক্তভোগীদের দাবী তারা দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বসবাস করে আসছে, বিদ্যুৎ, বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল সময় মতো পরিশোধ করে আসছেন। সরকার যদি এই জমি কারো নামে বরাদ্দ দেয় তাহলে আগে আমাদের প্রাপ্ত। নার্গিস নামে এক মহিলা আমাদের কাছ থেকে দোকান ভাড়া নিয়ে গোপনে হাউজিং থেকে কাগজ বানিয়ে এই সম্পত্তি তার দাবী করে কোর্ট থেকে উচ্ছেদ অর্ডার এনেছে। হাউজিংয়ের কর্মকর্তা, পুলিশ ও লেবার ভাড়া করে এনে তারা ভাংচুর চালায়। উচ্ছেদের আগে আমাদের কোনো নোটিশ প্রদান করেনাই। সব হারিয়ে উচ্ছেদ হওয়া জমিতে পড়ে পড়ে কাঁদছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।
ভুক্তভোগীরা বলেন, পুলিশ আমাদের মারধর করেছে, মহিলাদের টেনে হেঁচড়েছে। পুলিশের তান্ডব দেখে মনে হলো আমরা কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী। এই প্লটটির বর্তমান মুল্য প্রায়ই ৩ কোটি টাকা। আমাদের প্রায়ই ২৫/৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তবে হাউজিং কর্মকর্তাদের দাবী তারা যা কিছু করেছে সব আইনানুযায়ী করেছেন। জমির কাগজ যাদের নামে কোর্ট তাদের পক্ষে রায় দিয়েছে, আমরা সরকারি কাজ করতেছি।