বুধবার , ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হিমু গ্রেফতার

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০ ১০:৪০ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ একাত্তর.কম/ সাদ্দাম হোসেন মুন্না;  

ব্রুনাইয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে একাধিক  লোকের কাছ থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মানবপাচারকারী শেখ আমিনুর রহমান হিমু (৫৫)। ২০১৯ সালে হিমু ব্রুনাইয়ে মানবপাচারের মূল হোতা মেহেদী হাসান বিজনের কোম্পানির নামে ভুয়া ডিমান্ড লেটার সংগ্রহ করে ৬০ জন ব্রুনাইয়ে পাঠায়। ভুক্তভোগীরা ঋণ করে ও জমিজমা বিক্রি করে ব্রুনাইয়ে গিয়ে কোনো কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করে নিজ খরচে দেশে ফিরে আসে। হিমুর নিজের কোনো রিক্রুটিং লাইসেন্স নেই, সে নজরুল ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস ও হাইওয়ে ইন্টারন্যাশনাল আরএল ব্যবহার করে ব্রুনাইয়ে মানবপাচার করে আসছিলেন।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) র‍্যাব-৩ এর কার্যালয়ে এসব কথা জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাকিবুল হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র‍্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।,

এর-আগে, বুধবার দুপুরে রাজধানীর কাফরুল থেকে এনএসআই ও র‍্যাবের অভিযানে মানবপাচারকারী শেখ আমিনুর রহমান হিমুসহ তার সহযোগী মোঃ নুর আলম (৩৬) ও বাবলুর রহমানকে (৩০) কে গ্রেফতার করে র‍্যাব। এসময় হিমুর দেহ তল্লাশি করে একটি বিদেশী পিস্তল ও গুলি ভর্তি ম্যাগজিন পাওয়া যায়।

র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাকিবুল হাসান বলেন, ব্রুনাইয়ে মানব পাচারের ঘটনায় অসংখ্য ভুক্তভোগী র‍্যাব-৩ কার্যালয়ে অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ব্রুনাইয়ে মানব পাচারের মূল হোতা মেহেদী হাসান বিজন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন অপুর অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার শেখ আমিনুর রহমান হিমু সে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে অবস্থান করছিল এবং মেহেদী হাসান বিজনের সাথে তার দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ী সম্পর্ক। গ্রেফতার হিমু মেহেদী হাসান বিজনের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ব্রুনাই মানবপাচার করতেন।

গ্রেফতার হিমু বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় সংসদ সদস্য পরিচয় দিতেন। এই পরিচয়ে এলাকার বেকার-যুবকদের টার্গেট করে ব্রুনাইয়ে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখাতেন। ব্রুনাইয়ের চাকরির কথা বলে প্রতিজনের কাছ থেকে তিন থেকে চার লাখ টাকা নিতেন। কিন্তু ব্রুনাইয়ে কোনো চাকরি না পেয়ে উল্টো জেল খেটে মানবিক জীবন যাপন করেন সে সব প্রবাসীরা।

র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক আরও বলেন, বাংলাদেশি দালাল গ্রেফতার শেখ আমিনুর রহমান হিমু ব্রুনাইয়ে ভালো ভালো কোম্পানির কথা বলে মানব পাচার করতেন। কিন্তু ব্রুনাইতে সেসব কোম্পানির কোনো খোঁজ মেলেনি।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাকিবুল হাসান বলেন, আইন অনুসারে ব্রুনাইতে একজন কর্মী সর্বোচ্চ দুই বছর অবস্থান করতে পারেন। দুই বছরে অভিবাসন ব্যয়ের টাকা তুলতে না পেরে ভিসার মেয়াদ অতিক্রান্ত করে বাংলাদেশে ফিরে না গিয়ে মানবপাচার চক্রের মাধ্যমে দুই হাজার ব্রু ডলার দিয়ে পার্শ্ববর্তী সারওয়াক প্রদেশ হয়ে মালেশিয়ার পাচার হয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, মালেশিয়াতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নামে বর্তমানে কোনও ভিসা দেওয়া হয় না। মূলত ব্রুনাই বর্তমানে আন্তর্জাতিক মানবপাচার কার্যক্রমের রুট এবং গন্তব্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রিক্রুটিং এজেন্ট, বাংলাদেশি দালাল মিলে একটি সংঘবদ্ধ চক্র হয়ে কাজ করছে। এদের উদ্দেশ্য হলো শ্রমিকদের কাছ থেকে মাসিক সুবিধা আদায় করা, শারীরিক নির্যাতন করা এবং তাদেরকে বেকার রেখে দেশে ফেরত যেতে বাধ্য করা। যাতে তাদের ওয়ার্ক ভিসার বিপরীতে এভাবে আরো কর্মী আনতে পারে।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা ও নির্যাতনসহ বহুমুখী অপরাধ প্রবণতার কারণে ব্রুনাইয়ে সক্রিয় ভিসা দালাল চক্রের মূল হোতা মেহেদী হাসান বিজনসহ সাত জনের পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে বাংলাদেশ হাই কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানায়। পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে পাসপোর্ট অধিদপ্তর মেহেদী হাসান বিজনসহ সাত জনের পাসপোর্ট বাতিল করে।

সর্বশেষ - সর্বশেষ সংবাদ