শুক্রবার , ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

স্কুল/কলেজ ফাঁকি আড্ডা খানা হোটেল

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮ ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ একাত্তর: রাজধানীর মিরপুরে গত রবিবার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অনুসন্ধান করে দেখা যায় যে, উঠতি বয়সের তরুন-তরুণী স্কুল-কলেজ ফাকি দিয়ে তারা এখন আড্ডা খানা খুজে পেয়েছে বর্তমান খাবারের অভিজাত রেস্তোরা গুলোতে।

সরজমিনে দেখা যায় যে, মিরপুর-১০, ব্লক-এ,রোড-৪, বাসা নং-১, এক্সপ্রেস ক্যাফে রেস্তোরায় স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা জোড়ায় জোড়ায় একে অপরের হাত ধরে বসে আছে সল্প আলোর ঝলকানিতে। ডিজিটাল বাংলাদেশে শিক্ষার আলোর বিকাশ ঘটাতে তারা এই পন্থা অবলম্বন করছে। বাবা মা নিজে এক বেলা না খেয়ে সন্তানকে তিন বেলাই ভালো খাবার দেওয়ার চেষ্টা করে আর সেই সন্তান যদি এভাবে স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে যৌন হয়রানিতে লিপ্ত হয় তাহলে সেই বাবা মা কি ভাবে সমাজে মাথা উচু করে সন্তান নিয়ে গর্ব করবে।

স্কুল কলেজের নাম করে অনেক সময় বাসা থেকে আমাদের আদরের সন্তানরা অতিরিক্ত টাকা নেয় আর সেই টাকা দিয়ে তারা স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে নানা অপরাধ কর্মে লিপ্ত হচ্ছে। কেউ মাদক সেবনে ব্যস্ত কেউ যৌন হয়রানির কাজে লিপ্ত।মোটা অংকের লাভের কারনে এই অভিজাত রেস্টুরেন্ট গুলো সুযোগে হোটেল মালিকরা তাদের খাবারের দাম দিগুন ও নিচ্ছে। কিন্ত তাতে কি? রেস্টুরেন্টের ভিতর খুব সুন্দর স্থান কোন কাস্টমার কেউ কাউকে দেখতে পারছেনা। যৌনহয়রানিতে মেতে আছে জোড়ায় জোড়ায়। আবার এসির বাতাস সল্প রঙ্গিন লাইট প্রেমিক প্রেমিকার কাছে সেই সময় মনেই স্বর্গের চেয়েও শান্তি।

একটি ৫০০মিঃ পানির বোতলের মুল্য-১৫ টাকা হলেও এই রেস্টুরেন্টে তারা অতিরিক্ত ৫টাকা মানে ২০ টাকা নিচ্ছে।একদিকে রেস্টুরেন্ট মালিকরা লাভবান অন্যদিকে ধ্বংস আমাদের যুব সমাজ। এ দৃশ্য শুধু যে এক্সপ্রেস ক্যাফে রেস্টুরেন্টে তা কিন্তু নয়? গোটা মিরপুরে এমন আরো অনেক আছে। অভিজাত রেস্টুরেন্ট যৌনহয়রানির শিকার প্রতিদিন অহরহ হচ্ছে। মিরপুরসহ বিভিন্ন জাগায় সুশীল সমাজের মানুষ দায়ী হিসেবে রেস্টুরেন্ট মালিকদের মনে করেন ।

শুধু যে তরুন তরুণী তা কিন্তু নয়। অনেক সময় দেখা যায় যে,স্কুলে বাচ্চা দিয়ে অনেক বিবাহিত মহিলারাও স্কুল ছুটির আগপর্যন্ত ঘরে স্বামী থাকতেও প্রেমিকের সাথে চুটিয়ে প্রেম করে নিরাপদ আস্তানা সল্প আলোর ঝলকানি অভিজাত রেস্টুরেন্ট গুলো। মাদক সেবন থেকে শুরু করে যা ইচ্ছা তাই করা যায় এই রেস্টুরেন্ট গুলোতে।

এ প্রসঙ্গে, এক্সপ্রেস ক্যাফ রেস্টুরেন্টের পরিচালনাকারী পলাশ বলেন, আমার রেস্টুরেন্টে সব সময় এসি চলে তাই পানির মুল্য ৫টাকা বেশি।আর আমার এ রেস্টুরেন্ট সব বান্ধা কাষ্টমার যারা সব সময় এখানে সময় কাটায় তাদের দাম বলা লাগেনা।

এবিষয়ে, বীর মুক্তি যোদ্ধা, শেখ ওয়াছি উজ জামান লেলিন বলেন, সরকারের উচিৎ এই ধরণের রেস্টুরেন্ট গুলো বন্ধ করে দেওয়া, বঙ্গবন্ধুর রক্তের বিনিময়ে এই সোনার দেশ, লক্ষ লক্ষ শহিদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ আমাদের সন্তানরা যাতে ভালো কিছু শিখতে পারে সেই দিকে পরিবারেরও খেয়াল রাখতে হবে।

এডভোকেট আঃ রুবেল বলেন, এটা ইউরোপকান্ট্রি না এটা বাংলাদেশ মুসলিমজাতির দেশ এদেশে কোন অনৈতিক কাজ চলতে দেওয়া উতিৎ না।

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র নাসিম বলেন,আমার মনে হয় প্রত্যেক গার্ডিয়ানরা স্কুল বা কলেজে পড়ুয়া সন্তানদের খোজ খবর নেওয়া দরকার ও স্কুল/ কলেজ/ ভার্সিটিতে ক্লাসে অনউপস্থিত থাকলে শিক্ষকগন গার্ডিয়ানদের অবহেলিত করা।

বঙ্গবন্ধু বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল কলেজে ক্লাসে উপস্থিত না হলে পরিবারকে জানানো ও স্মার্ট ফোন যাতে ব্যবহার না করতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে।

এবিষয়ে বিএসটিআই এর এক কর্মকতা বলেন, আইন আছে যে ন্যায্য মুল্যের চেয়ে বেশি দাম নিলে তা ভোক্তা অধিদপ্তর আইনে জেল জরিমানার বিধান রয়েছে।

সর্বশেষ - সর্বশেষ সংবাদ