বুধবার , ১৯ মে ২০২১ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে মিরপুর প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
মে ১৯, ২০২১ ৭:৫১ অপরাহ্ণ

মিরপুর প্রতিনিধিঃ শামীমা আক্তার 

দেশের প্রথম সারির জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর সাহসী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ের একটি কক্ষে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতনের পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর এবং অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকার মিরপুরে কর্মরত মিরপুর বিভাগের সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ মিরপুর প্রেসক্লাব। সংগঠনটি ১৯৯৫/৯৭ রেজিষ্ট্রেশনকৃত।
 
বুধবার বিকাল ৫ টায় রাজধানীর মিরপুর-১২, বি, ব্লকে মিরপুর প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
 
মিরপুর প্রেসক্লাব এর সভাপতি গোলাম কাদেরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিরুজ্জামান আমির এর সঞ্চালনায় এ প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মিরপুর প্রেসক্লাব এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাজু আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী ওবায়দুর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি মীর আক্তারুজ্জামান তারেক, সহ সভাপতি সেলিম রায়হান, সহ-সভাপতি শামীমা আক্তার, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসানউল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ, প্রচার সম্পাদক মারুফ হায়দার, সদস্য পপি খাতুন, সদস্য সোহেল রানা, সদস্য মোঃ রানা, সদস্য রেজাউল করিম,সদস্য শাহাবুদ্দিন, সাংবাদিক সজল নন্দি, সদস্য মাসুদ বেপারী, সাংবাদিক এইস এম জামাল উদ্দিনসহ সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সদস্যরা অংশ নেন।
 
এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, রোজিনা ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সচিবালয়কেন্দ্রিক সরকারি কর্মচারীদের অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাটের সংবাদ বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে সংবাদ প্রকাশ করে আসছেন। যে কারণে তিনি ওইসব অসৎ ও ‍দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টার্গেটে ছিলেন। তাই তার ওপর আক্রমণ কৌশলে আইনের মার পেঁচে ফেলে তাকে প্রথমে থানা পরে জেলখানায় পাঠানো সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া কিছুই নয়। এ কর্মকর্তারা জনগনের টাকা লুটপাট করে অবৈধ ভাবে ধনসম্পদের পাহাড় করে দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে গচ্ছিত রাখে। রোজিনা ইসলাম লিখনের মাধ্যমে তা প্রকাশ করায় এ লুটেরা ফাদে ফেলে সাংবাদিকে লাঞ্চিত করে।
 
বক্তারা আরও বলেন, এই ঘটনা স্বাধীন ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার উপরে বড় ধরনের আঘাত। এ ধরনের ঘটনার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের অসৎ, দুর্নীতিবাজ ও গণবিরোধী সরকারি কর্মচারীরা এমন একটি ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়, যাতে সাংবাদিকরা কোনো ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর প্রকাশে সাহস না পান। এ মামলা হামলা সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করার একটি অপচেষ্টা মাত্র।  তারা সচিবালয়সহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে সাংবাদিকদের প্রবেশ সীমিত বা সম্ভব হলে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে চায় যাতে তারা নির্বিঘ্নে জনগণের টাকা লুটপাট করতে পারে। দেশের টাকা মেরে তাদের সন্তানদের বিদেশের দামী দামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন নিয়ে ব্যস্ত। 
 
আরো বলেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে যে অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টে মামলা করা হয়েছে, সেটির যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বক্তারা। রোজিনা ইসলামকে শারীরিক নির্যাতনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের নিরাপত্তা হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলা দায়ের করা উচিত বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। মিরপুর প্রেসক্লাব এর পক্ষ থেকে বলা হয় রোজিনা ইসলাম কে যতক্ষন নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া না হবে ততক্ষণ এ কর্মসূচি চলবে। 

 

 

সর্বশেষ - সর্বশেষ সংবাদ