অনলাইন ডেস্ক:
ভোলা সদর উপজেলায় বখাটের উত্ত্যক্তের কারণে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বখাটের বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঘটনাটি সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের স্যামপুর গ্রামের।
শনিবার দুপুরে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা ভোলা জেলা প্রশাসক ও ভোলা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিক কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে জানা গেছে, স্যামপুর গ্রামের ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকের মেয়েকে (১৩) দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার মো. কামালের ছেলে সুজন (১৮) উত্ত্যক্ত করে আসছে। ঘটনাটি মেয়েটি তার বাবাকে জানালে তিনি বিষয়টি ওই বখাটের বাবা কামাল ও এলাকার গণ্যমান্যদের জানায়। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। পরে মেয়েটির বাবা স্থানীয় ইউপি সদস্য মিলনকে জানালে তিনিও কোন সমাধান করতে পারেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে সুজন মেয়েটির বাবাকে হুমকি দিয়ে আসছে।
মেয়েটির বাবা বলেন, আমার মেয়ে স্থানীয় শান্তির হাট ইসলামীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে সুজন তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। আমি সুজনের বাবা কামালকে জানালে তিনি কোনো সমাধান করেননি। এতে সুজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বাড়িতে গিয়ে মারধর করে। আমি গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হলে গাঁজা ও ইয়াবা গাড়িতে রেখে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার ভয়ে মেয়েকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।
তিনি আরও জানান, আমি সুজনের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।
শান্তির হাট ইসলামীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফায়েল আহমেদ জানান, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই মেধাবী ছাত্রী ঈদের বন্ধের পর আর স্কুলে আসছে না। ছাত্রীর বাবার আমাদের কাছে বিষয়টি জানাননি। তিনি আরও জানান, সুজন আমাদের স্কুলে পড়াশোনা করেছিল। ছেলেটি বখাটে টাইপের।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, স্কুলছাত্রীর বাবা আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।