বাংলাদেশ একাত্তর.কম/নিজেস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা: পল্লবী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী বলেছেন, পল্লবী এলাকা শতভাগ মাদক মুক্ত হয়নি। মাদক সহনীয় পর্যায়ে আছে। এখনও একটু-আধটু মাদক বিক্রি হচ্ছে। কথা সত্য।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর, সাংবাদিক আবাসিক এলাকা কমিউনিটি সেন্টারে ‘সাংবাদিক আবাসিক এলাকার অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা ও মাদক নিয়ন্ত্রণ’ শির্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন। প্রজন্ম সাংবাদিক আ/এ কল্যাণ সংঘ সভাটি আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভায় কাজী ওয়াজেদ আলী সহ আরো অনেকে
ওয়াজেদ আলী বলেন, পেশাগত কারণে সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের সখ্যতা আছে। আমরা সাংবাদিকদের সম্পর্কে জানি। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে কাজ করেন। আমি একজন সামান্য সরকারি কর্মচারী। আপনাদের ট্যাক্সের টাকায় আমার বেতন হয়।
তিনি বলেন, সাংবাদিক আবাসিক এলাকায় ঢুকে কারোর এক পিস ইয়াবা বিক্রি করার সাহস নেই। পুলিশ আপনাদের সহযোগিতা করবে। এখানে যে মাদক বিক্রি করবে, তাকে ধরে আমাকে ফোন দিবেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে এসে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এই এলাকায় পুলিশ টহলের জন্য দুইবেলা ব্যবস্থা করব।
পল্লবী থানার ওসি আরো বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। পুলিশের সবাই মাদকের বিষয়ে টলারেন্স। সারা বাংলাদেশের শতভাগ মাদক বন্ধ করতে পারেনি। একইভাবে আমরা পল্লবী এলাকায় শতভাগ মাদক বন্ধ করতে পারিনি। কিন্তু আমার আন্তরিকতার কোন অভাব নেই। আমি মাদকের বিষয়ে কোনো রকম আপস করি না। আমি চার মাস হলো পল্লবীতে এসেছি,সত্যি বলতে গেলে এই চার মাসে কোনো মাদক খোর বা ব্যবসায়ীকে আটকের পর ছাড়ানোর জন্য কোন সাংবাদিক আজ পর্যন্ত তদবির করেনি এটা আমাকে মুগ্ধ করেছে।

সাধারন সম্পাদক: জিশান আহমেদ
সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী দিদার বক্স বলেন, এক সময় এই এলাকা থেকে আমার স্ত্রীর স্বর্ণের চেইন ছিনতাই হয়েছিল। ওইদিন কাউকে ডেকে পাশে পাই নি। সাংবাদিক আবাসিক এলাকায় পল্লবী থানা পুলিশ পেট্রোল টিমের টহল ও এলাকাকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় প্রজন্ম সাংবাদিক আ/এ কল্যাণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক জিশান আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাংবাদিক আউয়াল ঠাকুর, প্রবীণ সাংবাদিক জিয়াউল হক, ঢাকা সাংবাদিক গৃহসংস্থান সমবায় সমিতি লিঃ সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক, পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর বি এম শওকত আলী, পল্লবী থানা পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. ইয়ামিন কবির, প্রমুখ।