বাংলাদেশ একাত্তর.কম / নিজেস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর মিরপুর পল্লবী থানার পাশে দীর্ঘদিন ধরে এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ীর ষষ্ঠ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে দেহব্যবসাসহ অসামাজিক কার্যক্রম করে আসছিলো কিছু অসাধু নারী চক্র।
জানা যায়, সেকশন-১২, ব্লক-সি, রোড ১০, বাসা-০৩, পল্লবী থানা সংলগ্ন মোজাম্মেল হক নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ীর ষষ্ঠতলা ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে দেহব্যবসায় জড়িতদের আটক করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দের তথ্যমতে ও পল্লবী থানা নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি, কাজী ওয়াজেদ আলী এর নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক সদস্য অভিযান চালিয়ে দেহব্যবসার সাথে জড়িতদের আটক করে।
আটকরা হলো, শাহিনা আক্তার (৩১) নাহার আক্তার রিনা (২৫)।
এসময় দেহব্যবসায় কাজে ব্যহারিক নানা জিনিসপত্র পাওয়া যায়। গত বছরে উক্ত ভবনের চতুর্থ তলায় এক নারীর কাটা, গলাপঁচা লাশ উদ্ধার করা হয়।
সুত্র: পল্লবীথানা সংলগ্নে এ দেহ ব্যবসার মুল হোতা এক নারী সে নিজেকে দলীয় নেত্রী পরিচয় দিয়ে স্থানীয় এমপি, কাউন্সিলর ও প্রশাসনের অফিসারদের সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রামে ফটো তুলে। ফটোকে পুজি করেই অপকর্মের মুল হাতিয়ার হিসেবেই অসামাজিক কার্যক্রম আসছিলো। মাঝে-মধ্য গভির রাত পর্যন্ত পল্লবী থানা সংলগ্নে আড্ডাবাজীতে মগ্ন থাততেও দেখা যায় ওই সকল নারীদের।
অনির্ভর সুত্রে, পল্লবী ও রুপনগর এলাকায় প্রায়ই ২৩টি ফ্ল্যাট বাসায় রাতের বেলায় চলে মদ জুয়া ও দেহ ব্যবসা। অবৈধ ব্যবসা হাসিলের জন্য প্রায়ই সড়কে দিনরাতে নিরাপত্তার নামে সড়কে লোহার গেট লাগিয়ে তালা বন্ধ করে রাখে। যাতে গন্যমাধ্যম ও আইন সংস্থাকারীদের চোখে ধুলো দিয়ে সকল অবৈধ ও অনৈতিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারে।
পুলিশের বাড়ীতে দেহব্যবসার সাথে জড়িতদের আটকের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ধন্যবাদ জানান পল্লবী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলীসহ অভিযানে থাকা সকল সদস্যদের।