স্টাফ রিপোর্টারঃ ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ শনিবার স্প্লেন্ডর লো ভিশন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার, ‘লো ভিশন এর উপর এক মতবিনিময় সভার এবং উক্ত সেন্টার থেকে বেসিক ব্রেইল এ প্রশিক্ষিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরকে সনদ প্রদান এর আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল কাদের। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট এর অধ্যাপক ডাঃ ইনামুর রহমান চৌধুরী ও সিডিডির থেমেটিক এক্সপার্ট জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্টানের সভাপত্বিত করেন স্প্লেন্ডর লো ভিশন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার এর স্বত্বাধিকারী জারিন তাসনিম খান।
লো ভিশন এর উপর মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট এর লো ভিশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ নাহিদ ফেরদৌসী। তিনি বলেন যখন কোন ব্যক্তির কম হলেও দৃষ্টি শক্তি আছে অর্থাৎ কমপক্ষে আলো বুঝতে পারে কিন্ত সাধারণ চশমা দ্বারা তা সংশোধন বা উন্নতি করা যায় নাই, আবার অন্য কোনো বিশেষ চিকিৎসাও নাই এরুপ অবস্থাকে লো ভিশন বা ক্ষীণ দৃষ্টি বলে। এ ক্ষেত্রে দৃষ্টি শক্তি সম্পুর্নরুপে সংশোধন করা সম্ভব না। রোগীদের প্রয়োজন মত বিভিন্ন প্রকার সহায়ক অপটিক্যাল ও নন-অপটিক্যাল ডিভাইস দিয়ে রোগীর যে দৃষ্টি অবশিষ্ট আছে তা সংশোধিত ও পরিবর্ধিত করে তাকে জীবন যাপনের সহায়তা করা হয়। কাউন্সেলিং এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে লো ভিশন রোগীকে পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো ও একটি পুর্ণ ও কর্মক্ষম জীবনে নিয়ে যাওয়া চেষ্টা করা হয়।
ব্রেইল সেরকম একটি প্রশিক্ষণ যার মাধ্যমে দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের জন্য স্পর্শদ্বারা বোধগম্য লিখন ও পঠন এর মাধ্যমে তারা নিজেদেরকে অধিকতর যোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে সক্ষম হবেন। তবে লো ভিশন সম্পর্কে জনগন এখনো সচেতন না। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল কাদের বলেন, লো ভিশন এর ক্ষেত্রে লোপ পাওয়া দৃষ্টি শক্তি সম্পুর্নরুপে সংশোধন করা সম্ভব না কিন্তু মেডিকেল চিকিৎসা, কাউন্সেলিং ও পুর্ণবাসন -এর সমম্বিত সেবাই লো ভিশন এর চিকিৎসা। তিনি স্প্লেন্ডর লো ভিশন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার এর এধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।