শনিবার , ৫ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা

পল্লবীতে ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: এক যুবক গুলিবিদ্ধ, পুরনো শত্রুতার জেরে সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব

প্রতিবেদক
বাংলাদেশ একাত্তর
এপ্রিল ৫, ২০২৫ ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ

রাজু আহমেদ | ৫ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানীর মিরপুর পল্লবীতে আবারও সন্ত্রাসীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কেঁপে উঠেছে জনপদ।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ৮:৩০ মিনিটে সেকশন-১২, ব্লক-ই এলাকার রোড নং ৬ ও ৭ এর মধ্যবর্তী স্থানে মোড়াপাড়া ক্যাম্প সংলগ্ন রাস্তায় সংঘটিত এই হামলায় গুলিবিদ্ধসহ একাধিক ব্যক্তি আহত হন।

পুরনো শত্রুতার রক্তাক্ত পুনরাবৃত্তি

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে এই এলাকার ব্লক-সি’তে একটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়, যার নেতৃত্বে ছিল মোড়াপাড়া ক্যাম্পের ‘সানি’। সেই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করেই বৃহস্পতিবার রাতের এই ভয়াবহ হামলা চালানো হয়।

ঘটনার সময় সানি, জাকির ও তামিম রাস্তায় অবস্থান করছিলেন। ঠিক সেই সময় ২০ থেকে ৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল রামদা, চাপাতি, ছুরি ও পিস্তলসহ তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ৩ থেকে ৪ রাউন্ড গুলি বর্ষণের কথাও প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেছেন। গুরুতর আহত সানি ও জাকিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তামিমকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সন্ত্রাসী গ্রুপ ও আলোচিত নাম

এই গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয়ভাবে কুখ্যাত সুমন, রাজন, আরমান, ঘাড়কাটা সুমন, পাতা সোহেল, বুক পোড়া সুজন ও রফিকুলের নাম উঠে এসেছে। অপরপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে উজ্জল, জিন্দা, সাঞ্জু, রমজানে, মাসুদ এবং নেংড়া রুবেল নামের আরও একটি চক্র।

সন্ত্রাসের রাজত্ব ও আতঙ্ক

৫ আগস্টের পর থেকে পল্লবী ও রূপনগর এলাকায় গুলি, কুপিয়ে হত্যা ও একাধিক সহিংস ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ডজনখানেক মানুষ। এলাকার জনগণের প্রশ্ন— বারবার একই জায়গায় সন্ত্রাসীদের এই দাপট কেন?

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা সংগঠিত হয়ে নতুন সদস্য নিচ্ছে। সদস্য হওয়ার আগে অস্ত্রের মুখে ‘সাহস পরীক্ষা’ নেওয়া হচ্ছে। অনেকেই সন্ত্রাসী হলেও রাজনৈতিক পরিচয়ে আত্মরক্ষা করছে এবং দেশের বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণ চালিয়ে যাচ্ছে।

নেতৃত্বের নীরবতা হতাশ করছে স্থানীয়দের

এই বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তার ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

স্থানীয়দের মতে, দেশের বাইরে থাকা পালাতক সন্ত্রাসীদের হয়ে যারা দেশে সংগঠিত হচ্ছে, তাদের লাগাম টেনে ধরতে আমিনুল হকই একমাত্র উপযুক্ত ব্যক্তি হতে পারেন— কারণ তিনি একজন জনপ্রিয় নেতা।

তবে তার নিরবতা অনেককেই হতবাক করেছে। একজন এলাকাবাসী বলেন, “রূপনগর ও পল্লবীতে অপরাধ কর্মকাণ্ড দিনে দিনে বাড়ছে, অথচ এই বিষয়ে আমিনুল হকের কোনো বক্তব্য নেই— এটা খুবই হতাশাজনক।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, রূপনগর থানার ওসি কার্যত নিষ্ক্রিয়, অপরাধ দমনে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। বিপরীতে, পল্লবী থানার ওসি নিয়মিত অভিযানে অংশ নিচ্ছেন এবং কিছুটা হলেও অপরাধ দমন কার্যক্রম সক্রিয় রাখছেন।

জনগণের দাবি

পল্লবী-রূপনগর এলাকাবাসী এখন শক্ত অবস্থান ও কার্যকর অভিযানের দাবি জানাচ্ছে। তারা বলছে, রাজনীতি বা প্রভাব নয়, এখন প্রয়োজন আইনের কঠোর প্রয়োগ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ।

সর্বশেষ - আইন ও আদালত

আপনার জন্য নির্বাচিত

আ.লীগ নেতা মনির মোল্লাকে খুজছে রূপনগর থানা পুলিশ

হেলেনার দুই অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার

২ নম্বর ওয়ার্ডে পরিবর্তনের প্রত্যাশা, তরুণ প্রার্থী পলাশ হোসেন মোল্লাকে ঘিরে জনতার জোয়ার

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই নিজের গলায় ছুরি চালায় যুবক

মিরপুরে চাঞ্চল্যকর ‘সিয়াম হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

ডিইউজের সরকারি ছুটির সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের ছুটি সমন্বয়ের দাবি

ছাত্রহত্যার আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার নেপথ্যে বিএনপি নেতা:গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

নির্বাচিত সরকারই জনগণকে সাথে নিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার ও দেশ পরিচালনা করবে : আমিনুল হক

পল্লবীতে গ্যাস লাইন ফেটে অগ্নিকাণ্ড

চাঁদা না পেয়ে, মাতাল বিএনপি নেতার মারধর-ভাঙচুর, ভিডিও ভাইরাল