স্ত্রীর করা নির্যাতন মামলায় ছাত্রলীগ নেতা জামিনে মুক্ত হয়ে ফিরে এলেন পুরনো ব্যবসায়।,
বাংলাদেশ একাত্তর.কম/নিজেস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর পল্লবীতে স্ত্রীর করা নারী নির্যাতন মামলায় আল আমিন নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানোর পরে জামিন পেয়েছে। এখন সে প্রকাশ্যে চলাফেরা ও পুরনো পেশায় ব্যস্ত রয়েছে।
নারী নির্যাতন মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত এ ছাত্রলীগ নেতাকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করে পল্লবী থানার এসআই এনায়েত পাহাড়। গ্রেফতারকৃত আল আমিন পল্লবীর ৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ সভাপতি।, বর্তমানে জামিনে আছে।
আল আমিনের স্ত্রী সালমা সুলতানা বলেন, আমাদের বিয়ে হয়েছে প্রায় ৩ বছর। বিয়ের পরই জানতে পারি আমার স্বামী মাদক কেনাবেচায় জড়িত। মাদক নিয়ে পুলিশের হাতে অনেকবার আটক হয়েছে। আমি নিজে গিয়েও অনেকবার তাকে ছাড়িয়েছি। সে বিভিন্ন মাদক স্পট নিয়ন্ত্রন করে। অনেক মেয়ের সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। আলামীনের স্ত্রী আরও বলেন, বিয়ের কিছুদিন না যেতেই সে তার পরিবারের সদস্যদের কথায় বিভিন্ন সময় আমার কাছে যৌতুক দাবি করে। যৌতুক না দেওয়ায় বেশ কয়েকবার আমাকে মারধর করে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে একবার বিচার নিয়ে গেলে সেখানেও সে আমাকে অনেক মারধর করে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এখন মামলা তুলে নিতে অনেকেই আমাকে হুমকি দিচ্ছেন। ওরা অনেক প্রভাবশালী। এমনকি আমার বাসায় এসেও তার লোকজন হুমকি দিচ্ছে।
এতো বড় জঘন্যতম অপরাধীকে ছাত্রলীগের পদ থেকে কেন এখনো বহিষ্কার করা হচ্ছেনা তার জবাব চায় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানতে পল্লবী থানা ছাত্রলীগ সভাপতি জুম্মন বলেন, আমি ওয়ার্ডের প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারিকে বলে দিয়েছি, সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য। যেহেতু সে বিবাহিত এমনিতেই সে ছাত্রলীগের সংগঠনে থাকতে পারবেনা। খুব শিগগিরই বিস্তারিত আপনাদের জানাবো।
এদিকে জামিনে জেল থেকে মুক্ত হয়ে অবৈধ সেই পুরনো কাজ আবারো শুরু করেছে বলে স্থানীয়রা জানান।
সুত্রে জানাযায়, এই বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতা আলামিন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রউফ নান্নুর এক ভাইয়ের সাথে রয়েছে গভির সখ্যতা।

৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সহসভাপতি আল আমিন, হরেক রকম রূপসীদের মাঝে।,
এছাড়াও ৫নং ওয়ার্ডের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের ভাই বন্ধুদের মনোরঞ্জনের জন্য প্রায়ই রাতেই মদ বিয়ার ইয়াবাসহ নারী ছাপলায়ের ব্যবস্থা করেন এই ছাত্রলীগ নেতা।
গত ২০১৯ সালের জুন মাসে ৫ নং ওয়ার্ডে বাউনিয়াবাধ এলাকায় বিয়ে করেন আলামিন। একাধিক রুপসী মেয়েদের সাথে তার সুসর্ম্পক থাকার সুবাধে এবং বিবাহিত হওয়া স্বত্ত্বেও ৯/১০/২০২০ সালের ওই ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদটি পেয়ে যান আলামিন।
ঢাকা উত্তর মহানগর ছাত্রলীগের এক নেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, পল্লবী থানা ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি এবং পল্লবীর ৫নং ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি ছাত্রলীগের সংবিধান ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাজ করতে পারছেনা।
তিনি আরোও বলেন, আলামিনের বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ রয়েছে মাদক ব্যবসা , বিবাহিত, নারী নির্যাতন মামলার আসামী, জমি সংক্রান্ত দখল পাল্টা দখল। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এরপরও কিভাবে ছাত্রলীগের মত একটি সংগঠনের পদে বহাল থাকে। এতে করে একদিকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কে কুলোসিত করা হচ্ছে অন্যদিকে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে দুর্বল করার অপচেষ্টা চলছে।