নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর।
ঢাকা: রাজধানীর পল্লবী থানাধীন এলাকায় সাংবাদিক মুন্নার উপর হামলা, অপহরণ এবং নগদ অর্থ আত্মসাতের একটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছে চিহৃিত কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন যে, গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় রাজধানীর মিরপুর পল্লবীর সেকশন-১১, ব্লক-এ, রোড-৮ নান্নু মার্কেটের সামনে নূর রেন্ট একারের ভিতর থেকে, কিশোর গ্যাংয়ের মুলহোতা মনির, আলম, জোবায়ের, হেলাল, ফাহিম,রিফাত,ফয়েজ ও ফাহাদ সহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০/২৫ জনের একদল ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক তুলে নেয়ার চেষ্টা করে এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে।
মুন্নার অভিযোগ অনুযায়ী, অপহরণকারীরা তাকে একটি অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, এবং নগদ ত্রিশ হাজার টাকা, ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের দুইটি ক্রেডিট কার্ড, এনআইডি কার্ড, প্রেসের আইডি কার্ড সহ মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ও তার ব্যবহৃত পোকো ব্রন্ডের একটি মোবাইল সেট যাহার মূল্য অনুমান চল্লিশ হাজার টাকা, গলায় ৮ আনার একটি স্বর্ণের চেইন, যাহার মূল্য অনুমান ষার্ট হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে মুন্নার মোবাইল একাউন্ট বিকাশে থাকা এগারো হাজার টাকা তাদের বিকাশে সেন্ড করে নেওয়ার পর তারা তাকে মারধর করে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতি দেখিয়ে তার আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে মুন্নার বিকাশ নাম্বারে আরও পাঁচ চল্লিশ হাজার টাকা আনাইয়া তাদের বিকাশে সেন্ড করে নেয়। আরও টাকা দেওয়ার শর্তে অপহরণকারীরা আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন যে, বিষয়টি প্রকাশ করলে তার জীবনের জন্য ঝুঁকি হতে পারে। পরে, দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার পর অপহরণকারীরা মুন্নাকে অজ্ঞাত স্থানে ফেলে রেখে চলে যায়। এর আগে কিশোর গ্যাং সদস্যরা ভুক্তভোগীর কাছ ভিডিও রেকর্ড রাখেন যা তারা শিখিয়ে দেয়।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা শহীদ সরোয়ারদী কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সম্প্রতি তিনি কিছু অনিয়ম এবং দুর্নীতি নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন। তারা ধারণা করছেন, তার এই প্রতিবেদনই অপহরণের পেছনের মূল কারণ হতে পারে।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার ওসি জানান, “অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
ঘটনার এতোদিন পরও পুলিশের কোনো অগ্রগতি নেই। অপরাধীরা তাকে বার বার ভয়ভীতি দেখিয়ে চলছে। আইনের সুশাসনের অভাবে দেশের বিভিন্ন থানা এলাকায় না-জানি এমন কত নিরিহ মুন্নারা বিনা বিচারে কাতরাচ্ছে।
সাংবাদিক সমাজ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। তারা বলেন, “এ ধরনের হামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর হুমকি। আমরা ন্যায়বিচার চাই।”
মিরপুর ১১ নান্নু মার্কেট এলাকা ঘুরে ঘটনার সত্য পাওয়া গেছে, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দামী নামী ব্রান্ডের বাইক ব্যবহার করে। রাত হলে তারা বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড যুক্ত হয়। দামী মোবাইল ব্যবহার করে। মিরপুর ১,১০,২ নম্বর এলাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে।
জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান পুলিশের ঢিলা ঢালা আইন পরিস্থিতির কারনে অপরাধীরা অপরাধ কর্মকান্ড করে পার পেয়ে যাচ্ছে। এলাকায় চুরি ছিনতাই মাদক ব্যবসা, চাদাবাজি অপহরণ গুম খুনের ঘটনা পল্লবীতে ঘটেই।