সোমবার , ৫ মে ২০২৫ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা

মিল্লাত ক্যাম্পে চলছে মাদকের রমরমা কারবার, মূল ডিলাররাই ধরাছোঁয়ার বাইরে

প্রতিবেদক
বাংলাদেশ একাত্তর
মে ৫, ২০২৫ ৭:২৭ অপরাহ্ণ

রাজু আহমেদ | ঢাকা, [০৫ মে,২০২৫]

পল্লবী এলাকার মিল্লাত ক্যাম্প বর্তমানে মাদক চোরাচালান ও বিক্রয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে শাম্মি, আনোয়রি, সায়মা ও ওয়াহিদের নাম বার শোনা যাচ্ছে। তারা মাদকের মূল ডিলার হিসেবে ক্যাম্পের মধ্যে গোপন আস্তানায় অবস্থান করছে, যদিও সরকারি সংস্থার নজর এড়াতে তাদের কার্যক্রম সুক্ষ্ম ও বিচ্ছিন্নভাবে চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ীরা সরকারি ও প্রশাসনিক সদস্যদের সহযোগিতা পাচ্ছে, যার ফলে তারা পুলিশি অভিযান শুরু হওয়ার আগেই মাদক দ্রব্য লুকিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়। মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় পুলিশের টহল চললেও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করতে তারা কার্যত ব্যর্থ হচ্ছে।

মিল্লাত ক্যাম্পের ভিতর রয়েছে মাচ আলি ও তার পরিবারের কয়েকজন খুচরা মাদক বিক্রেতা। অন্য মাদক ব্যবসায়ীরা  রাতের অন্ধকারে তারা মিল্লাত ক্যাম্পের চৌরাস্তায় দলবেঁধে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করে। তাদের সাথে থাকে একডজন সোর্স, যারা মুখের আওয়াজ সংকেত বা মোবাইলের মাধ্যমে সতর্ক করে।

মাদক ডিলাররা মিয়ানমার, উখিয়া ও কক্সবাজার হয়ে ঢাকায় মাদক সরবরাহ করছে। এই অবস্থায় রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে, যা সমাজের জন্য এক বড় ক্ষতির সংকেত। প্রশাসনের নজরদারি ছাড়া মাদকের এই কার্যক্রম চলতে থাকলে তা সমাজের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

এদিকে, পল্লবীর পলাতক সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন মাদক বিক্রেতাদের সেল্টার দিয়ে তাদের সহযোগিতা করছে। সন্ত্রাসীদের এই সহযোগিতায় মাদক ব্যবসা আরও বিস্তৃত হচ্ছে, যা সমাজে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স ঘোষণা করেছি। যেকোনো মাদক ব্যবসায়ী কিংবা সেল্টার দাতা ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে প্রশাসন ও পুলিশ একযোগে কাজ করছে এবং সহযোগিতার মাধ্যমে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় সমাজের বোদ্ধামহল ও প্রশাসনের উচিত এ গুরুতর সমস্যার সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। অন্যথায়, পল্লবী থানা এলাকায় মাদকের প্রভাব আরও বেড়ে যাবে, যা সমাজের যুবকদের জন্যই নয়, বরং সমাজের সমগ্র পরিবেশের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। প্রশাসনকে এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এসেছে।

সর্বশেষ - আওয়ামীলীগ

আপনার জন্য নির্বাচিত