মিরপুর ঝিলপাড় বস্তিতে অবৈধ ব্যবসার আখড়া!
মিরপুর প্রতিনিধিঃ রাজধানীর মিরপুর সেকশন-৭ চলন্তিকা মোড় ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের পিছনে অবস্থিত ঝিলপাড় বস্তিতে চলছে সকল প্রকার অবৈধ ব্যবসা বানিজ্য।যা পুলিশ প্রসাশন দেখেও না দেখার ভ্যান করে চলছে। অন্যদিকে রূপনগর থানাধীন ফুটপাত ও সড়ক জুড়ে অবৈধভাবে হাজার হাজার দোকান বসিয়ে দৈনিক মাসুহারা নিচ্ছে পুলিশের সোর্স পরিচয়ে চাঁদাবাজ কাদের। মিরপুর ঝিলপাড় বস্তির নাম”দেশে তো বটেই বিদেশেও বেশ পরিচিত হয়েছে এই সুবাদে ।
বাংলাদেশ একাত্তর.কম – রুপনগর আবাসিক ৩০ নম্বর রোডের শেষ মাথায় রুপনগর খাল দখল করে শত শত বস্তিঘর তুলে ভাড়া দিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র, যে টুকু খাল অবশিষ্ট আছে পারলে সেটুকুও দখল নেয়ার চেষ্টায় মেতে আছে- খালের ওপারের অবৈধ পানির লাইন টেনে এপারে সংযোগ দিচ্ছে। মুল সড়ক দখল করে বাজার, অবৈধ বাসষ্ট্যান্ড, অবৈধ সিএনজি ষ্ট্যান্ড, অবৈধ লেগুনা ষ্ট্যান্ডসহ লাখ লাখ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় ব্যবহার হচ্ছে সরকারি বিদ্যুৎ সম্পুর্ণ অবৈধভাবে। যা, দেশ কে পিছিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
রুপনগর আবাসিক ৩০ নম্বর রোডের শেষ মাথায় রুপনগর খালের ওপার পানির অবৈধ লাইন থেকে এপারে অবৈধ পানির লাইন টেনে সংযোগ দিচ্ছে।
এক শ্রেণীর লোকজন সরকারি খাল বিল ফাকা জায়গা খুজে দিয়ে তাদের পারিশ্রমিক নিয়ে চলে যায়। অন্যদিকে বিএনপি জামাত ও ছাত্র শিবিরের মাদক ব্যবসায়ী ও বর্তমান হাইবীড নেতাকর্মীরা তাদের অবৈধ ব্যবসার আখড়া নিয়ন্ত্রণ করার সুবাদে খাস জমি সুনা মাত্রই দলবল নিয়ে দখল” সাথে নামধারী সাংবাদিকও। এই দখল নিয়েও হয় গ্রুপে গ্রুপে সংঘর্ষ তাতে ঝড়ে যেতে পারে তাজা প্রাণ।
যে বেচে ফিরবে সেই হবে বস্তির রাজা ও নেতাদের হাতের পুতুল। তাই তো রাত দিনে তৈরি ব্যাঙয়ের ছাতার মত গজিয়ে উঠছে সহরের আনাছে কানাছে বস্তি।
ঝিলপাড় বস্তিতে জুয়ার আসর
ঝিলপাড় বস্তিতে জুয়ার আসর
এই বস্তি দখলের সাথে জরিত পথের ভিকারী থেকে উচতলার প্রভাবলাশীরাও। খুব সহজেই বস্তিতে চালানো যায় সকল প্রকার অপরাধের রাম রাজত্ব যা দেখার কেউ নেই। বস্তি দখলে প্রতি বছরই ঢাকার কোথাও না কোথাও শুনা যায় ডিবি পুলিশের সাথে বন্দুক যোদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যু সহ সন্ত্রাসী অমক তমক আটক ইত্যাদি
বস্তি দখলে কিছু স্থানীয় কালো বিড়াল, যারা দিনে সমাজ সেবার নামে মাথায় টুপি দিয়ে ঘুরা ফিরা করে আর রাত হলে অবৈধ ব্যবসার খাতা খুলে হিসাব নিকাশ করে। দেশে সব চেয়ে লাভজনক ব্যবসা বস্তিতে। মাসে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করা সম্ভব! এই দখল চক্রের সাথে জড়িত রাস্তার ভিকারি থেকে প্রভাবশালীরাও।
অবৈধভাবে ব্যবহার হচ্ছে গ্যাস বিদ্যুৎ পানি। বস্তিতে চলে মাদক ব্যবসা ও আছে মাদক সেবনের নিরাপদ স্থান। প্রকাশ্য চলছে জুয়া দেহ ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ চুরি ছিনতাই মারা-মারি কাটা-কাটি তো লেগেই থাকে।
সরকার যদি আজ ঘোষণা করে ঢাকাসহরের বস্তি বাসিদের বিনা মুল্যে পরিবার প্রতি একটি করে ফ্ল্যাট দিবো তোমরা বস্তি খালী করো-তাহলে বেশির ভাগ ফ্ল্যাট পাবে এলাকার ক্ষমতাবান ব্যক্তির আত্নীয় স্বজনরাই।
এই প্রভাবশালী চক্রটি কালো বিড়ালের মাংস খেয়ে প্রতিজ্ঞা করে। কেউ কেউ নামের পাশে আলহাজ্ব লাগিয়ে ও ধুমছে দাপিয়ে চলছে, যে দল-ই ক্ষমতায় আসুক তারাই সে দলের সাইন বোর্ড ব্যবহার করে অবৈধ মাদক ব্যবসা, জুয়া ব্যবসা, দেহব্যবসা সহ গ্যাস বিদ্যুৎ পানি, যে কারনে সরকারের রাজস্ব আয়ের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি করছে এই কালো বিড়ালরা। ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ।
এ অবৈধ কাজের সাথে কারা জরিত এসকল তথ্য ও বিস্তারিত নিয়ে আসছে বাংলাদেশ একাত্তর।
