রাজু আহমেদ: প্রকাশিত, ২০ মার্চ ২০২৫
ঢাকা, পল্লবী: বাউনিয়াবাদের ঐতিহাসিক খালটি বর্তমানে ভূমি দস্যুদের দখলে পড়ে সংকুচিত হয়ে নালায় পরিণত হয়েছে। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং প্রভাবশালী মহল খালটির দুই পাড়ের জমি অবৈধভাবে দখল করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশেষ করে গত ৫ আগস্টের পর দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে লুকিয়েছে এবং বিদেশে পলাতকরা আবার সক্রিয় হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এদের একটি অংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে সরকারি ও বেসরকারি জমি দখল করে ভবন নির্মাণ ও বাউন্ডারির কাজ চালাচ্ছে।
খালটির একপাড়ে ভবন, অন্য পাড়ে বাউন্ডারির কাজ চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের নড়বড়ে ভূমিকার কারণে ভূমি দস্যুরা স্বাধীনভাবে অবৈধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
এই খালটি একসময় এলাকার লঞ্চ, ট্রলার, স্পিডবোট চলাচল এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। তবে বর্তমানে এটি দখলদারদের কবলে পড়ে পানিপ্রবাহ বন্ধের উপক্রম হয়েছে। বাউনিয়াবাদ সরকারি ১৪ তলা ভবনের পেছনে এবং কালসী লোহার কালভার্টের দুপাশে শত শত বিঘা জমি দখল বানিজ্য চলছে। বিভিন্ন কোম্পানির সাইনবোর্ড লাগিয়ে জমিগুলোর দখল নিশ্চিত করা হচ্ছে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, খালটির যথাযথ পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এলাকাবাসী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এভাবে চলতে থাকলে পুরো খালটিই বিলীন হয়ে যাবে, যার প্রভাব পড়বে এলাকার জলাবদ্ধতা এবং পরিবেশের ওপর।
সরকারি প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি এলাকাবাসীর আহ্বান—বাউনিয়াবাদ খালটি ভূমি দস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করে এর ঐতিহাসিক অবস্থান পুনরুদ্ধার এবং এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।