বগুড়া প্রতিনিধি|
প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
বগুড়ায় ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জিতু সরকারের বিরুদ্ধে। নিহত শাকিল (৩২) শহরের শিববাটির বাসিন্দা। এই ঘটনা নিয়ে সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জিতু সরকার তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেন। কিশোরীর বাবা শাকিল সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জিতু ও তার অনুসারীরা শাকিলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ নদীর পাড়ে ফেলে রেখে যায়। শাকিলের লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পর বগুড়াসহ সারা দেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। চাপের মুখে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি এক জরুরি সিদ্ধান্তে জিতু সরকারকে দলীয় সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেয় এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানায়।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, “জিতু সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং তা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। সে কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার না করলেও, আপাতত অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “স্বেচ্ছাসেবক দল সবসময় নীতি, আদর্শ ও শৃঙ্খলার উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। কেউ যদি দলীয় পরিচয়কে অপব্যবহার করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান বিজ্ঞপ্তির সাথে একমত প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনায় আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দেন।


















