রাজু আহমেদ রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) ২০২৪ইং
ঢাকা: ফ্যাসিস্ট শাসনামলে নির্যাতন, কারাবরণ ও অমানবিক দমন-পীড়নের শিকার হয়ে ছাত্রদলের জন্য জীবন বাজি রাখা নেতাদের নাম নেই সদ্য তালিকা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কমিটিতে। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের স্বকীয় নেততাদের কমিটিতে প্রাপ্য সন্মান না দিলে অনেকেই কষ্ট চাপা খোভ নিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে পারেন।
ছাত্রদলের ত্যাগী নেতারা মনে করেন, যারা সংগঠনের ক্রান্তিকালে রাজপথে ছিলেন, নির্যাতন সহ্য করেছেন, তাদের উপেক্ষা করে সুবিধাবাদীদের স্থান দেওয়ার মাধ্যমে সংগঠনের ঐতিহ্য ও নীতি প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। দলীয় অভ্যন্তরে অনেকেই বলছেন, ত্যাগীদের বাদ দিয়ে গঠিত এই কমিটি দীর্ঘমেয়াদে ছাত্রদলের শক্তি ও সামর্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
একজন সিনিয়র নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে থেকেছেন, তাদের স্থান না দিয়ে সুবিধাবাদীদের সুযোগ দেওয়া ছাত্রদলের জন্য আত্মঘাতী। ত্যাগের এ রকম অসম্মান সংগঠনের মূল ভিত্তি নড়বড়ে করে দেবে।”
নেতাকর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন, কমিটি গঠনে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ এবং স্বজনপ্রীতির প্রভাব পড়েছে। তারা মনে করেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত দলকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ থেকে সরিয়ে দিচ্ছে এবং দীর্ঘমেয়াদে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
নতুন কমিটি ঘোষণার আগেই বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা দাবি করছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে যেসব নেতা নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন না করা শুধু অন্যায় নয়, এটি সংগঠনের প্রতি অবিচার।
ছাত্রদলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ও আদর্শিক ভিত্তি টিকিয়ে রাখতে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের প্রতি অবিলম্বে সুবিচার করার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের অভ্যন্তরীণ সমর্থকরা।