রাজধানীর রূপনগর থানা কৃষকলীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ (হারুন) ও সহযোগি জাহাঙ্গীর আলম (মধু) ধর্ষনের দায়ে গ্রেফতার।
গত ৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ধর্ষন মামলার আসামী হাজী হারুণ অর রশিদ (হারুন) ও সহযোগী জাহাঙ্গীর আলম (মধু) রূপনগর থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। পর দিন ৬ এপ্রিল শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠান।
রুপনগর থানা সুত্রে জানা যায় যে, সায়মা আক্তার (১৯) পিতাঃ মৃত্যু ওমর আলী মাতাঃ জোবেদা খাতুন,স্থায়ী ঠিকানাঃ সাং খিজিরপুর,থানাঃ মিঠামইন, জেলা কিশোরগঞ্জ, বর্তমানে বাসা- ৩৯/১৩, রুপনগর আবাসিক ,থানা,রূপনগর ঢাকা।
পরে মোছাঃ সায়মা আক্তার, বাদী হয়ে রুপনগর থানায় ধর্ষনের অভিযোগ করে মামলা করেন।। মামলা নং ০৭ – ধারা নং ৯(১)/৯(৩) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, সংশোধনী ২০০৩” বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন ও গনধর্ষন করার অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হলো আসামী ১. হারুন অর রশিদ (হারুন) ২ জাহাঙ্গীর আলম মধু।
এ বিষয়ে রূপনগর থানার ওসি অপারেশন মোঃ মোকাম্মেল হক বাংলাদেশ একাত্তর’কে জানান, আমরা বিজ্ঞ আদালতের কাছে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলাম বিজ্ঞ আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আশা করি আমরা আরো কিছু তথ্য পাবো।
এদিকে বাদী পক্ষ থেকে গুঞ্জন উঠেছে বাদী পক্ষকে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। হাজী হারুন গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই এলাকায় আনন্দের ঝড় উঠে, এলাকাবাসী মিষ্টি বিতরণ করবেন বলে ও জানান।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন হাজী হারুনের অত্যচারের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না হয়তো বা এবার তার সঠিক বিচার হবে।
এলাকাবাসি আশাবাদি নুতন অফিসার্স ইনচার্জ শেখ মোঃ শাহ্ আলম কে পেয়ে, আসামী যত বড়ই হোক না কেন আইন তাকে ছাড় দিবেনা আমরা এতো দিন পর শাহ আলম সাহেবের মতো একজন ওসি পেয়ে আমরা রুপনগর বাসি গর্ববোধ করি।
হাজী হারুনের নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে।এলাকাবাসী আরো বলেন কৃষকলীগের সাইনবোর্ডে সে দীর্ঘ দিন যাবত বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছিলো। ঘটনার বিষয়ে হাজী হারুনের প্রথম স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে গনমাধ্যম কর্মিদের দেখা না করতে নানান তালবাহানা করে হাজী হারুনে বোনের ছেলে হিরা ও বোনের মেয়ে পারভীন, তারা বলে মামী অসুস্থ আছে, কি বলতে না বলে ফেলে দিবে, আপনারা সাংবাদিক যদি লিখে দেন।