প্রতিবেদকঃ সুমন। মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে থাকলেও আতঙ্কে নেই ক্যাম্পের বিহারি (উর্দুভাষী) জুয়াড়িরা। রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর বি ব্লকের ৭ নম্বর লাইনে দিন-দুপুরেই বসে জুয়ার রমমরা আসর।
দিন-দুপুরেই সড়কে বসে জুয়ার আসর-ছবিঃ বাংলাদেশ একাত্তর.কমঃ সময়- শুক্রবার, বিকাল ৩টাঃ ৩৫ মিনিটে তোলা।
মূল সড়কে গাদাগাদি করে ২০-২৫ জন জুয়াড়ি প্রতিনিয়ত দল বেঁধে জুয়া খেলছে। জুয়াড়িদের বেশিরভাগই তরুণ। জুয়া খেলতে আসা তরুণদের কারো মুখে মাস্ক থাকে না। এতে করোনা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাহাড়ায় থেকে আরও ৫/৭জন কেউ প্রতিবাদ করতে আসলে তাদের উল্টো হেনস্তার শিকার হতে হয়।
রাস্তার ওপর বসানো হয় জুয়ার বোর্ড। টাকা দিয়ে প্রতি বোর্ডে ৬ জন বাজি ধরেন। সর্বনিম্ন ১২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত অনেকে বাজি ধরেন। প্রতি বোর্ডে ১০ হাজার টাকার মতো জুয়া চলে। ৬ জন খেলে একজন লুডুর ছক্কা ঝেকে জুয়ার বোর্ডে ছুড়ে মারেন, যে কোনো একজন জিতে বাকি ৫জনের টাকা বোর্ড মালিকের।
বাজিতে হেরে অনেকেই নিমিষে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। জুয়াড়িদের বেশিরভাগ সদস্য মাদকসেবী ও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এরা মুলত সন্ধ্যা হলেই চুরি ছিনতাইয়ের কাজে নেমে পড়ে। এরা ক্যাম্পের বিহারি (উর্দুভাষী) দলে বেশি লোকজন থাকায় অনেকেই প্রতিবাদ করতে সাহস করেনা। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ী প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলেও তাদের চোখে পড়েনা।
সূত্র জানায়, এ স্পটে প্রতিদিন ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার জুয়া চলে। সড়কে জুয়ার বোর্ডেই টাকা ছড়ানো ছিটানো থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাস্তায় জুয়ার আসর বসে। রমজানের শুরুতে মিল্লাত ক্যাম্পের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা এই জুয়ার আসর বসিয়েছে। স্থানীয়দের কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পান না। থানায় অভিযোগ দিয়েও লাভ হয়নি।
পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মাবুদ বলেন, মিরপুর ১১ নম্বরের বি ব্লকের ৭ নম্বর লাইনে রাস্তায় জুয়ার আসর বসে এ ধরনের তথ্য তাদের কাছে নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
(বাংলাদেশ একাত্তর.কম) শুক্রবার-২৩ঃটা ৪০মিনিটে।
