তাড়াইল উপজেলার কুলেছা আক্তারের ৮০ বছর হলেও মিলছেনা বয়স্ক ভাতা!
জানা যায় যে, স্বামীহারা বিধবা, বয়স্ক কুলেছা আক্তারের দিন কাটছে খুব কষ্টে। অসহায়ত্ব লাঞ্ছনা যার নিত্য সংঙ্গী, বিশেষ করে অর্থনৈতিক কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। কুলেছা আক্তারের একমাত্র মেয়ে ফাতেমা আক্তারকে বিয়ে দিয়েছেন একই ওয়ার্ডের হোসেন আহমেদের কাছে।স্বামী সংসার নিয়ে আলাদা বসবাস করছেন মেয়ে ফাতেমা। কুলেছা আক্তার জানান, এতবছর বয়সেও তিনি কোনো বয়স্কভাতা পাননি। এমনকি সরকারিভাবে দেয়া সব সাহায্য-সহযোগিতা থেকেও বঞ্চিত তিনি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তাকে দেখার যেন কেউ নেই। অসহায় কুলেছা আক্তার বয়স্কভাতার সুবিধা পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলার ধলা-ইউনিয়নের ৬নং নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সবুজ মিয়া বলেন, কুলেছার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বয়স্কভাতা কার্ডের জন্য তিনি কখনো আমার কাছে আসেননি। যদি আসতেন তাহলে ব্যবস্থা করে দিতাম। তিনি আরও বলেন, সামনে বয়স্কভাতার কার্ড আসলে আমি কুলেছার জন্য বয়স্কভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩নং- ধলা ইউনিয়নের ৬নং- ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ অন্যন্য সযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত রয়েছে দেশের সাধারণ নাগরিক।এমন শত শত কুলেছা আক্তারের মত বিধবা/ বয়স্ক অসহায় মানুষ সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত রয়েছে তার খবর কে রাখে। সরকারি অনুদান তারাই ভাগ পায় যারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের ঘনিষ্ট। যাদের অভাব অনটন নেই বললেই চলে তারাই সুবিধা ভোগ করে বেশি।
বর্তমানে প্যারালাইসিস এর রোগী কুলেছা হাটতে পারেন না । কুলেছা আক্তার আরো জানান, অনেকবার চেষ্টা করেও অজ্ঞাত কারণে ভাতা থেকে বঞ্চিত।স্বাধীনতা যুদ্ধের আগের বছর স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই জীবনের সাথে যুদ্ধ করে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়ে এখন সর্বশান্ত।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী কুলেছা আক্তারের জন্ম ২ মার্চ ১৯৪০ খ্রিষ্ঠাব্দ।এলাকাবাসী দাবি, কুলেছা আক্তারকে বয়স্ক ভাতাসহ অন্যন্য সযোগ সুবিধা দেওয়া হোক।