ওয়েব ডেক্স সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশুকে নষ্ট হয়ে যাওয়া ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ উঠল। আর তার জেরেই জ্বলাতঙ্কের শিকার হয়ে মৃত্যু চার বছরের ফুটফুটে শিশুর। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা এলাকায়। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিত্সক ও নার্সের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।
জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ, মারিদশার পাইকবাড়ের ছোট্ট দীপঙ্করকে কামড়ে দেয় পাড়ারই একটি পাগল কুকুর। তড়িঘড়ি ছেলেকে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান তার বাবা। দেওয়া হয় প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন।
কিন্তু, তাতে কোনও কাজ হয়নি। ২ ফেব্রুয়ারি ফের জ্বর আসে ছোট্ট দীপঙ্করের। ফের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখান থেকে এবার তাকে কাঁথি হাসপাতালে রেফতার করে দেন চিকিত্সকরা। পরীক্ষা করা পর সেখানকার চিকিত্সকরা জানিয়ে দেন, জলাতঙ্কের যে ভ্যাকসিন শিশুটিকে দেওয়া হয়েছে তা কাজ করেনি। ফলে অবস্থার অবনতি হতে থাকে। রেফার করা হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। সেখানকার চিকিত্সকরাও জানিয়ে দেন জলাতঙ্কে ভুগছে ছোট্ট দীপঙ্কর। অবশেষে দু’দিন লড়াইয়ের পর রবিবার তার মৃত্যু হয়।
দীপঙ্করের মৃত্যুর খবর পৌছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। খড়িপুকুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের চিকিত্সক ও নার্সের বিরুদ্ধে মারিশদা থানায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কীভাবে ছোট্ট শিশুকে সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নষ্ট হয়ে যাওয়া ভ্যাকসিন দেওয়া হল তানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চায় পরিবার।