“এই পুশ কর, পুশ কর’ জোড়ে পুশ কর, এত চিল্লান ক্যানো” আরো তো রোগি আছে!
বাংলাদেশ একাত্তর.কম/রংপুর প্রতিনিধি; শনিবার।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অনভিজ্ঞদের প্রাকটিস গ্রাউন্ড যেখানে ইচ্ছে মত চলে রোগীদের উপর অভিজ্ঞতা নেয়ার নির্মম প্রাকটিস
“এই পুশ কর, পুশ কর
জোড়ে পুশ কর, এত চিল্লান ক্যানো”
দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে চিকিৎসা প্রদান চলে ইচ্ছে মত ও অনভিজ্ঞদের নিজেকে ডাক্তার বা নার্স হিসেবে জাহির করতে অভিগজ্ঞতা অর্জেনের প্রাকটিস গ্রাউন্ড রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সরকারী হাসপাতালের রোগীরা বান্দর বা পশু নয় যে, যেখানে মন চায় যেভাবে মন চায় ইনজেকশন পুশ করা যাবে। আপনারা (ডাক্তার রা) নিজেদের পরিচালিত অথবা বেতনভুক্ত, প্রাইভেট ক্লিনিক বা হসপিটাল এ রোগিদের সম্মান করেন, তার ক্ষীন ভাগ ও প্রতিফলিত হয়না রংপুর সরকারী এই মেডিকেল কলেজ হাস্পাতালে।
আক্ষেপ ও ক্ষোভ নিয়ে অভিযোগ দিচ্ছিলেন একটি শিশু মেয়ের বাবা রংপুর মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে। জনৈক পিতা নিজের সন্তানের হাতে ইনজেকশন পুশ করার অভিনব পন্থা অবলোকন করলেন তীব্র আফসোস নিয়ে। নেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার, নেই অভিজ্ঞ কর্মকর্তা, হঠাৎ অভিজ্ঞরুপী মহিলা আসলেন ডাকলেন তাদের ই একজন কে, ইনজেকশন পুশ করতে বললেন শিশুর হাতে, দু তিনবার চেষ্টার পরে ক্যানুলা ফিট করতে পারলেন না। শিশু মেয়ের দু’হাত মুহুর্তেই ফুলে উঠলো, তবুও পাশ থেকে অভিজ্ঞ মহিলা অনভিজ্ঞ মেয়েটি কে বলছেন এই পুশ কর পুশ কর। অসহায় পিতা বলছেন হাত ফুলে গেলো ইনজেকশন দিতে ব্যার্থ অনভিজ্ঞ মেয়েটিকে কে সরতে বললে অভিজ্ঞ মহিলা রোগির বাবা কে বলেন আপনি এতো চিল্লান ক্যানো মেয়ে কি আপনার একার এখানে আছে, সবাইকে সময় দিতে হবে, তারাতাড়ি পুশ করতে হবে।
চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী কর্তৃক ডাক্তার সাহেবের কাছে বকশিস আবদার করে অন্যায় করাই ডাক্তার কর্মচারীদের মধ্যে বিরাজমান পরিস্থিতির মূল কারন নয়। ডাক্তার দের সাথে কর্মচারীদের বাকবিতন্ডা ও মনমালিন্যের পিছনের মূল কারনের সুত্র পাত মৃত শিশু রোগীর বাবার এই অভিযোগ কে কেন্দ্র করেই।
এরই মধ্যে ভুল চিকিৎসা দ্বারা বাংলাদেশ টেলিভিশন এ কর্মরত একজনের বাবার মৃত্যু তে সরাসরি ডাক্তার এর অবহেলা জুনিয়র ইন্টার্ন এর উপর দায়িত্ব চেপে দিয়ে অন্য কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার ফল হিসেবে ভুল চিকিৎসায় রোগি মারা যাওয়ায়।
রংপুর মেডিকেল এর পরিচালক বরাবর অভিযোগ প্রদান করেন যার অনুলিপি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সকল অধিদপ্তরে প্রেরন ও করেন।
ডাক্তার গণ মৃত রোগীর ছেলের এই অভিযোগ পত্র নিজেদের আওতায় নিতে কর্মচারীরা সহ কোন মহল থেকে সাহায্য না পাওয়ায়, সেই বকশিস ইস্যু কে আরো জোড়দার করে এসকল বিষয়কে পর্দার আড়ালে চেপে রাখার অভিনব কৌশলে এগুতে থাকলেও শেষ অবধি তা চেপে রাখতে পারলেন না তারা।
স্থানীয় কিছু রেজিঃ বিহীন ফেসবুক পেজওয়ালা কথিত টিভি নিউজ এর কথিত সিইও দের ভাতা দিয়ে এই বকশিষ ইস্যু কে হাইলাইটেড করান। সেই কথিত সিইও রা পর্দার অন্তরালের লোমহর্ষক এসব কাহিনীর থেকে যোজন যোজন দূরে অবস্থান করছেন কিছু অর্থ লাভের আশায় এসব ডাক্তারদের পশ্চাৎপদ এ।,