নুরুল হক
বাগাট ইউনিয়নের ঘোপঘাট গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গির হোসেন এর বাড়িতে লোকজন ও গ্রামবাসী দ্বারা পিটিয়ে হত্যা করা চিতাবাঘটি ও নিচে আটক করা চিতাবাঘ। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে এবার একটি মেছোবাঘকে জীবিত আটক করেছে গ্রামবাসী। তবে আটক মেছোবাঘটির সঙ্গে থাকা আরও দুটি মেছোবাঘ পালিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের মিটাইন পূর্বপাড়ার একটি পুকুর থেকে মেছোবাঘটিকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার ভোররাতে উপজেলার একই ইউনিয়নের ঘোপঘাট দক্ষিণ পাড়ায় একটি মেছোবাঘকে আটকের পর পিটিয়ে হত্যা করে এলাকাবাসী। একদিনের ব্যবধানে এ ধরনের ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।তবে বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে- এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ মেছোবাঘ মানুষের জন্য ক্ষতিকারক নয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের মিটাইন পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মোস্তফার বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুর পাড়ে বৃহস্পতিবার ভোররাতে ছুটাছুটির শব্দ শুনতে পায়। ওই সময়ই বাড়ির লোকজন সবাই পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখতে পায় তিনটি মেছোবাঘ জড়াজড়ি করছে। এ সময় ওই বাড়ির লোকজন চিৎকার দিলে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে মেছোবাঘ তিনটিকে ধরার জন্য তাড়া করে। এতে ছোট মেছোবাঘটি পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। অন্য বড় একটি ও ছোট একটি মেছোবাঘ দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসী পুকুর থেকে ছোট মেছোবাঘটিকে আটক করে। তাদের পিটুনিতে আহত হয় মেছোবাঘটি। সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে চিকিৎসক গিয়ে আহত মেছোবাঘটিতে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে। পরে বন বিভাগের কর্মকর্তারা গিয়ে মেছোবাঘটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বাগাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রব জানান, মিটাইন পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মোস্তফার বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে মেছোবাঘটিকে আটক করা হয়। তিনটি মেছোবাঘের মধ্যে বড় ও ছোট একটি পালিয়ে যায়। দুটি মেছোবাঘ পালিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছে।মধুখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সহকারী চিকিৎসক মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে মিটাইন গ্রামে গিয়ে আহত মেছোবাঘটিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। চিকিৎসার পর এখন মেছোবাঘটি সুস্থ।মধুখালী উপজেলা বন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, খবর পাওয়ার পর পরই সকালেই বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেখান থেকে মেছোবাঘটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।তিনি আরও জানান, পালিয়ে যাওয়া মেছোবাঘ দুটিকে আটক করতে অভিযান চালানো হবে।ফরিদপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, আটক মেছোবাঘটি উদ্ধার করে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। মেছোবাঘ মানুষের তেমন কোনো ক্ষতি করে না। সাধারনত মাছ, মুরগি এগুলো খায়। রাতের যেকোন সময়ে মেছোবাঘটিকে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেয়া হবে।