ঢাকা উত্তরে বইছে নির্বাচনীয় হাওয়া। প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে নরম শুরে ভোট চাইছেন ও এলাকায় নানা উন্নয়নমূলক কাজ করবেন বলেও প্রতিশ্রুতির কমতি নেই।
সফিকুল ইসলামঃ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পুরোদমে চলছে প্রচার-প্রচারণা। প্রতিটি ভোটারের কাছে পৌঁছাতে মরিয়া প্রার্থীরা। চষে বেড়াচ্ছেন প্রতিটি অলিগলি। রাত-দিন নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
গণসংযোগ-মিছিল, সমাবেশ, মাইকিং-পোস্টার ঝোলানোসহ নানা কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী এলাকা গুলি।
এদিকে মেয়র পদে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোঃ আতিকুল ইসলাম ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী তাবিদ আওয়াল জনগনকে মাইকিং করে মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই এলাকার অলিগলিও পুরোপুরি উন্নয়ন করে দিবে বলেও আস্বাস দিয়ে চষে বেড়াচ্ছে । এই নির্বাচনে আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণে মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অন্যদিকে বাপ্পীর সমর্থকরা বলেন জনগনের অনুরোধেই ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পী।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডটি সব চেয়ে বিতর্কিত ওয়ার্ড হিসেবে পরিচিত এই ওয়ার্ডে নজুর মত মাদক সম্রাটের দীর্ঘ দিন বসবাস।
সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজ্বী রজ্জব হোসেনের আশ্রয় প্রশ্রয়ে (পোড়া বস্তি) ঝিলপাড় বস্তিতে গড়ে উঠে ছিলো মাদকের স্বর্গরাজ্য এমন তথ্য গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও উঠে এসেছিলো।
তবে এলাকাবাসী মনে করছেন এই এলাকার উন্নয়ন ও জনগনের দায়ীত্ব রক্ষা করতে একজনই পারবে তিনি তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পী।
দেখা যায়, তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পীর পক্ষে জনসমর্থনের ঢল রাজ পথ দিয়ে মিছিল মুখে স্লোগান “বাপ্পী ভাই তুমি এগিয়ে চল আমরা আছি তোমার সাথে” বাপ্পী ভাইয়ের ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই” বাপ্পী ভায়ের মার্কা ঝুড়ি মার্কা”ঝুড়ি মার্কায় দিলে ভোট শান্তি পাবে এলাকার লোক। নারী পুরুষের সম্মিলিত কন্ঠে ছন্দের তালে তালে রাজপথে বাপ্পীর পক্ষে তারা এ ভাবেই প্রচার প্রচারণা লক্ষ করা যায়।
এ নির্বাচন বিষয়ে বাপ্পী বলেন, আমি এলাকার মানুষের শান্তির জন্যে কাউন্সিলর নির্বাচন করছি। জনগনের ৯০ভাগ সমর্থন আমার পক্ষে আমি জয়ী হয়ে “মাদক” মুক্ত সন্ত্রাস মুক্ত” করে একটি ডিজিটাল আধুনিক ওয়ার্ড পরিপূর্ন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিবো।
স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা
শেখ ওয়াছি উজ্জামান লেলিন বলেন, বাপ্পী খুবই ভালো ছেলে, তার বাবা মন্টু ভাই ভালো মানুষ ছিলেন, অনেক কাউন্সিলর তো হয়েছে তাদের কর্মকাণ্ড সবার জানা জমি দখল, মদ, জুয়া, ইয়াবা সেবনেই ব্যস্ত থাকে তারা। জনগনের মনোনীত প্রার্থী (ঝুড়ি মার্কা) তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পী কোন প্রকার নেশার সাথে সংপৃক্ত না, কোন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত না, যাকে একটা সিগারেট টানতেও কেউ দেখিনি, আসল জনগনের প্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা রাখে সে। তিনি বলেন, যে মাদক সেবন করেনা তার উপর এলাকার দায়ীত্ব দেওয়া যায়।
একি ৬নং ওয়ার্ডে সালাউদ্দীন রবিন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে এলাকার অলিগলিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে তিনি ভোটারদের কাছে অচেনা প্রার্থী হলেও আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হওয়ায় সেই পরিচয়টা তার বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে।
সালাউদ্দীন রবিন বলেন, আমি মিছিল মিটিং ও প্রচার প্রচারণা পুরোদমে করছি। আমার পিছনে বহু শত্রু লেগেছে তারা আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে চায়। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনোনীত করেছেন, আমি আশাবাদী এলাকাবাসী আওয়ামীলীগকে ভালোবেসেই আমাকে ভোট দিবে।
তিনি বলেন, আমি জয়ী হয়ে ৬নং ওয়ার্ডটিকে আধুনিকতায় পরিধান করিবো।
অন্যদিকে ৬নং ওয়ার্ডের বিতর্কিত কাউন্সিলর রজ্জব হোসেন এবার তার কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছেনা তাকে দলীয় নমিনেশন দেওয়া হয়নি।
তবে সালাউদ্দীন রবিনের হয়ে মিটিং মিছিলে যোগ দিতে দেখা গেছে। জানা গেছে তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ফাইলে চাপা পড়ে চুপসে আছে।
স্থানীয় রাজনীতিবীদরা মনে মনে অনেকেই খুশি,
তবে সালাউদ্দীন রবিনের হয়ে ঘরোয়া ভাবে গণসংযোগ করছেন সাবেক এই বিতর্কিত কাউন্সিলর হাজ্বী রজ্জব হোসেন এটা নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমাালোচনার ঝড় বইছে।