স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যখন প্রতি বছর দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে কালিমা লেপন করছিল, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই জায়গায় থেকে আজ বাংলাদেশকে সততায় চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশেরই নেতা নন, তিনি বিশ্বের নন্দিত নেতা। সারাবিশ্ব আজ তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। যেখানেই যাই সেখানেই শুধু মাননীয় প্রধামন্ত্রীর কথা।’
আজ শনিবার বিকেলে ঢাকার দোহার উপজেলার মুকসুদপুর পদ্মা কলেজের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আমেরিকার একটি সংগঠন সারাবিশ্বের ১৭৮টি রাষ্ট্র প্রধানের ওপর জরিপ করেছে। এই জরিপে তাদের মূল এজেন্ডা ছিল— এই ১৭৮ জন রাষ্ট্রপ্রধান সততায় কতোটুকু বলিষ্ঠ, নের্তৃত্বে কতোখানি দক্ষ। তাদের বিশ্লেষণে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় হয়েছেন।’
মন্ত্রী বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ ও পৃথিবী কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেটির ওপর কাজ করছেন বলেই তাকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ’ ঘোষণা করা হযেছে। আজকে তাকে ‘স্টার আব দি ইস্ট’, ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ বলা হচ্ছে। পাশাপাশি তার দক্ষতা, সততা ও বিজ্ঞতায় তিনি সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের কোন আলাউদ্দিনের প্রদীপ ছিল না, যে ঘষা দিলেই দৈত্য এসে হাজির হয়ে বলবে, ‘আমি রাস্তা করে দিচ্ছি, পদ্মা সেতু করে দিচ্ছি, বিল্ডিং করে দিচ্ছি।’ এর জন্য দক্ষতার, অভিজ্ঞতার, সততার ও দূরদৃষ্টির প্রয়োজন ছিল। এগুলোর সবকিছুই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে। তার কারণেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে আসতে পেরেছে। নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প হাতে নিতে পেরেছে। তার হাতে দেশ থাকলে পথ হারাবে না বাংলাদেশ।”
আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা ড. খান মো. আবদুল মান্নান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পদ্মা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মো. মজিবুর হায়দার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. মাহবুবুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. সালাউদ্দিন, অধ্যাপক ডা. মো. জালাল উদ্দিন, পদ্মা কলেজ প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি মো. মজিবুর রহমান মোল্লা, ডা. জে. এইচ গাজী, জাপান অর্থ কমিটির সভাপতি এম এ রহিম, সাধারণ সম্পাদক আখন্দ মো. সোহরাব হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার দেওয়ান মো. হানজালা, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ মিজান শফিউর রহমান, দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, রবিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম আল আমিন প্রমুখ।