বুধবার , ১০ অক্টোবর ২০১৮ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

মেসির ক্যারিয়ার সেরা মুহূর্তগুলো।

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
অক্টোবর ১০, ২০১৮ ৮:৪০ অপরাহ্ণ

বার্সেলোনায় যেদিন অভিষেক হলো খুব নার্ভাস ছিলেন। সেই মেসি নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ক্লাব ক্যারিয়ারে সম্ভব্য সবকিছু জিতেছেন। একাধিকবার হয়েছেন বর্ষসেরা ফুটবলার। একক নৈপুণ্যে ধসিয়ে দিয়েছেন অনেক শক্ত প্রতিপক্ষকে। ক্যারিয়ারের ৫০০তম গোলের মালইফলক ছুঁয়েছেন রিয়ালের বিপক্ষে এল ক্লাসিকো ম্যাচে। কিন্তু ক্যারিয়ারের সব ম্যাচ কিংবা মাইলফলক নিশ্চয় মেসির মনে নেই। মনে নেই দুর্দান্ত সব জয়ের মুহূর্ত কিংবা দারুণ সব গোলের কথা। সব তো আবার ভুলেও বসেননি। তার ক্যারিয়ারের তেমন কিছু সেরা মুহূর্ত নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে ফোর ফোর টু’কে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মেসি। তার বিশেষ অংশ তুলে ধরা হলো:

[বাংলাদেশ একাওর]

বার্সায় অভিষেক ম্যাচ

২০০৪ সালের কথা। এস্পানিওলের বিপক্ষে অভিষেক হলো। বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলাম। দল ১-০ গোলে জয় পেয়েছিল। সত্যি বলতে আমি কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। তবে অনেক বছর আগে আমি যেমনটা স্বপ্ন দেখেছিলাম অভিষেকটা তেমনই ছিল।

বার্সেলোনা ৭-১ বায়ার লেভারকুসের 

বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ২০১২ সালে বায়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে আমার পাঁচ গোল। একটার পর একটা গোল করলাম আমি। একজন স্ট্রাইকার এতো সহজে কাজটা করতে পারে বলে জানা ছিল না আমার। আমাদের পুরো দল দারুণ খেলেছিল। আমি বিশ্বাস করি দল ভালো না খেললে এটা সম্ভব ছিল না।

নাইজেরিয়া ০-১ আর্জেন্টিনা

বেইজিং অলিম্পিকে ২০০৮ সালে নাইজেরিয়াকে হারিয়ে স্বর্ণ জিতেছিলাম। সেবার সার্জিও আগুয়েরোর সঙ্গে আমার দারুণ বন্ধুত্ব হয়। তার সঙ্গে অনেক সময় কাটায়। শুধু স্বর্ণ জয়ের জন্য অলিম্পিক আমার কাছে সেরা মুহূর্ত নয় বরং আরও অনেক কিছু শিখেছিলাম। সেই বয়সে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছিল।

মেসির অলিম্পিকের স্বর্ণ জয়

বার্সেলোনা ৫-১ সেভিয়া

আমি আসলে জানতাম না আর একটি গোল করতে পারলে কি হবে। আমার উদযাপন নিয়ে কোন পরিকল্পনা ছিল না। তবে ২০১৪ সালে সেভিয়ার বিপক্ষে ওই ম্যাচে আমি লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলাম। ওটা অবশ্যই আমার জন্য বিশেষ এক দিন। লা লিগায় অনেক বিখ্যাত ফুটবলার খেলে গেছেন। তাদের সঙ্গে নিজেকে তুলনায় নিয়ে যাওয়া সত্যি অসাধারণ অনুভূতির ব্যাপার ছিল।

লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার পর

আর্জেন্টিনা ২-১ বসনিয়া

বিশ্বকাপে দ্বিতীয় গোলের জন্য আমাকে আট বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ২০১৪ বিশ্বকাপে আমি সেই ধাঁধাঁ মিটিয়েছি। ব্রাজিলে সেবার আমরা দারুণ কিছু করার জন্যই গিয়েছিলাম। আর শুরুটা হয়েছিল বসনিয়ার বিপক্ষে।

বার্সেলোনা ৩-০ বায়ার্ন মিউনিখ

জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে ৩-০ গোলে জিতেছিলাম আমরা। ওই ম্যাচে গোল করে দারুণ এক জয় পেয়েছিলাম আমরা। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছিলাম। ২০১৫ সালের ওই ম্যাচটা আমার কাছে অন্য দশটা ম্যাচের মতোই ছিল। কিন্তু পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানতে পারলাম আমরা আসলে কত ভালো খেলেছিলাম। বার্য়ানের মতো ক্লাবের বিপক্ষে ওমন জয় সহজ ব্যাপার ছিল না।

বার্সেলোনা ২- ০ আলবাসেট

বার্সেলোনার হয়ে আমার প্রথম গোল ওই ম্যাচে। ২০০৫ সালের ১ মে। ক্যাম্প ন্যূতে কেবল খেলা উপভোগ করতে শুরু করেছি আমি। ওই ম্যাচে গোল পাবো এমন কিছু ভাবিনি। কিন্তু আমি জানতাম গোলের মুখে যদি আমি বল পায় আর যদি গোল করার সুযোগ আমার সামনে থাকে তবে আমি নার্ভাস হবো না।

বার্সেলোনা ৩-৩ রিয়াল মাদ্রিদ

২০০৭ সালের মার্চে ম্যাচটি সমতায় শেষ হয়েছিল। কিন্তু আমার জন্য অন্য রকম এক ম্যাচ এটি। রিয়ালের বিপক্ষে তিন গোল পাওয়া সহজ ব্যাপার না। এল ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক পাওয়া অসাধারণ এক ব্যাপার। আমার তো মনে হয় বিশ্বব্যাপী ফুটবল ভক্তদের মনে ওটা সেটে আছে।

রিয়ালের বিপক্ষে শেষ সময়ে গোলের পর মেসি

বার্সলোনা ৫-২ গেটাফে

মাঠে কোন কিছু আগে থেকে ভেবে করা যায় না। খেলতে খেলতে হয়ে যায়। গেটাফের বিপক্ষে কোপা দেল রে’র সেমিফাইনালের ম্যাচটা ঠিক তেমন ছিল। আমি মাঝমাঠ থেকে বল ধরে টানতে শুরু করি। গোল করবো এমন কোন উদ্দেশ্য আমার ছিল না। কিন্তু বল নিয়ে যাওয়ার সময় আমি জায়গা পেয়েছি এবং এগিয়ে গেছি। এরপর পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়ি এবং গোলও পেয়ে যায়।

আর্জেন্টিনা ৬- ০ সার্বিয়া এন্ড মন্টিনিগ্রো

আমার প্রথম বিশ্বকাপ ছিল ২০০৬ সালে। তার আগে আমি দলের হয়ে বেশ কিছু প্রীতি ম্যাচ খেলে ফেলেছি। তাই বিশ্বকাপে নার্ভাস ছিলাম না। প্রথম ম্যাচে আইভরিকোস্টের বিপক্ষে বেঞ্চে ছিলাম। দ্বিতীয় ম্যাচের শেষ ১৫ মিনিটে দলে সুযোগ পায়। দলের হয়ে ষষ্ঠ গোলটা করি আমি। দারুণ এক দিন ছিল সেটা।

জুভেন্টাস ১-৩ বার্সেলোনা

জুভেন্টাসকে হারিয়ে ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা। ওমন এক দলের বিপক্ষে ইউরোপের সেরা হওয়া ছিল বিশেষ এক মুহূর্ত। ভালো খেললেও চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের মতো ম্যাচে আপনি পরাজিত দলে থাকতে পারেন। শিরোপা উচিয়ে ধরা দারুণ এক মুহূর্ত।

চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জুভেন্টাসের বিপক্ষে

রিয়াল মাদ্রিদ ২-৬ বার্সেলোনা

রিয়ালের মাঠ থেকে এমন জয় নিয়ে ফেরা ছিল বিশেষ কিছু। ২০০৯ সালের মে মাসের কথা। আমি ফলস নাইনে খেলেছিলাম। পেপ গার্দিওয়ালা আমাদের ছক কেটেছিলেন। দলের জন্য ওটা ছিল দারুণ এক ম্যাচ।

বার্সেলোনা ২-০ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিন্যান্ড আমার পাশে দাঁড়ানো। আর আমি হেড থেকে গোল করবো এটা ভাবা খুব কঠিন। কিন্তু ২০০৯ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওই কাজটিই করেছিলাম আমি। জাভির দেওয়া ক্রস তখন বাতাসে ভাসছে। আমার কাছে ব্যাপারটা এখনো ছবির মতো পরিষ্কার। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আমি হেড থেকে গোলটা দিতে পেরেছিলাম।

ম্যানইউয়ের বিপক্ষে হেডে মেসির গোল

রিয়াল মাদ্রিদ ২-৩ বার্সেলোনা

লা লিগায় ২০১৭ সালের ওই ম্যাচটায় সবকিছুই যেন স্বপ্নের মতো হয়ে গেলো। আমি দারুণ দুই গোল করলাম। শেষ গোলটা করলাম একবারে ম্যাচের শেষ সময়ে। ওই গোলে দল জিতলো। লা লিগায় আমার ৫০০তম গোল পূর্ণ হলো। তাও আবার রিয়ালের মতো দলের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে এর থেকে বেশি কিছু চাইতে পারতাম না।

সর্বশেষ - সর্বশেষ সংবাদ