সাজিদুর রহমান সজিবঃ
“নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে জোট বাধো, তৈরি হও, রুখে দাঁড়াও” স্লোগানকে সামনে রেখে বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৯ উপলক্ষে কর্মজীবী নারী’র উদ্যোগে মানববন্ধন ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে মিরপুর-১ নম্বর সনি সিনেমা হলের বিপরীতে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। এতে অর্ধশতাধিক কর্মজীবী নারী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কর্মজীবী নারী’র ট্রেইনিং এন্ড ডকুমেন্টেশন অফিসার মোঃ হুরমত আলী, প্রোগ্রাম অফিসার রোনা লায়লা ও রাবেয়া, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার, লীড ট্রেইনার রাবিতা ইসলাম, ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর নারগিস প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ‘মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নারীমুক্তি, সমাজসংস্কার ও প্রগতিশীল আন্দোলনের পথিকৃৎ। তিনি উন্নত মানসিকতা, দূরদর্শী চিন্তা, যুক্তিপূর্ণ মতামত প্রদান ও বিশ্নেষণ, উদার মানবতাবোধের অবতারণা এবং সর্বোপরি দৃঢ় মনোবল দিয়ে তৎকালীন নারী সমাজকে জাগিয়ে তোলেন। রোকেয়ার জীবনাদর্শ ও কর্ম নারী সমাজের অগ্রযাত্রায় পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।’
বক্তারা আরো বলেন, আজকে নারীরা নির্যাতিত। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে। কর্মজীবী নারীর অভিজ্ঞতায় দেখো গেছে জাতীয়, স্থানীয় ও পারিবারিক পর্যায়ে নারীর অবদানকে কখনোই সঠিকভাবে মূল্যায়ণ করা হয়নি, দেয়া হয়নি গুরুত্ব,যথাযথ মর্যাদা। নারীর প্রতি সমাজের ধারণা হচ্ছে নারীরা নির্ভরশীল, পরিবারের বোঝা। নারীদের এই অস্বীকৃি তবা অবমূল্যায়ন সমাজে নারীর অনিরাপদ অবস্থানের কারন।
তারা বলেন, গত ৪৮ বছরে বাংলাদেশে কন্যা ও নারী শিক্ষার প্রসার, মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাস এবং কাজের সুযোগ তৈরিতে অসাধারণ অগ্রগতি সাধন করেছে। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও নারী পুরুষের বৈষম্যের ফলে সৃষ্ঠ নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে প্রনীত হয়েছে সুনির্দিষ্ট আইন ও নীতিমালা। আজ বাংলাদেশে এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে নারীর উপস্থিতি চোখে পড়ে না এবং যেখানে নারী কোন অবদান রাখেনি। এতো অর্জন সত্তে¡ও নারীরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। পুরুষের অধঃস্তন পর্যায়ে রাখা হয়েছে তাদের। সমাজে নারীদের এ অধঃস্তন অবস্থান দেখানোর ফলে নারী ও কন্যা শিশুরা প্রতিনিয়ত সহিংসতার শিকার হচ্ছে। যদি নারীরা তাদের যথাযোগ্য মর্যাদা এবং কাজের স্বীকৃতি না পায় তাহলে টেকসই উন্নয়ন লখ্যমাত্রা অর্জন অপূর্ণ থেকে যাবে এবং জাতীয় উন্নয়ন লখ্যমাত্রা অর্জনও বাধাগ্রস্থ হবে।