শেখ রাজু আহমেদঃ মিরপুরের কৃতিসন্তান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নিবেদিত প্রাণ ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পল্লবী থানা যুবলীগের সভাপতি এবং স্থানীয় সাংসদের আস্থাভাজন তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পীকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্তধীন ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে দেখতে চায় এলাকাবাসী।
তরুণদের মাঝে বাপ্পী যেমন জনপ্রিয়, তেমনি মুরুব্বিদের কাছেও গ্রহণযোগ্য নাম “তাইজুল ইসলাম চৌধুরী ”।
৬নং ওয়ার্ডের অভিভাবক হিসেবে বাপ্পীকে পেতে চায় বলে তৈরি হয়েছে ঐক্যবদ্ধ একটি ইউনিট। তারা বাপ্পীর কাছে জোড় দাবি জানিয়েছে তিনি যেন কাউন্সিল প্রার্থী হন।
তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পী বলেন, গণতন্ত্র, রাজনীতি এবং আন্দোলন এই শব্দগুচ্ছের সঙ্গে জন্মের পর থেকেই আমার পরিচয়। আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজনীতির বসবাস। রাজনীতি যেন আমার রক্তের প্রতিটি কণার সঙ্গে মিশে আছে। বাবার রাজনীতি দেখে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুধাবন করেছি যে উনার পথচলার মূলমন্ত্রই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।
বাপ্পী তার বাবার উদ্দেশ্যে বলেন, আমার বাবা ভোগের রাজনীতিতে তিনি কখনোই বিশ্বাসী ছিলেন না। পবিত্র ভূমি মিরপুরের পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে যাদের সুনাম রয়েছে, তিনি তাদের অন্যতম একজন।
নিজের বিষয়ে বাপ্পী বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতি করি। দীর্ঘ দিন ধরে পল্লবী থানা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব শুনামের সাথে পালন করে আসছি। বর্তমানে আমি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছি, আমি নেতা নয় সাধারণ মানুষ হয়ে সকলের সঙ্গে মিশার চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, আজ আপনারা আমাকে ভালবেসে কাউন্সিলর হিসেবে দেখতে চাইছেন। তাদের ভালবাসায় আমি নিজেও প্রস্তুত, যদি আমি মনোনয়ন পাই তাহলে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কাছে নিজের মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে আধুনিক উন্নত একটি ৬নং ওয়ার্ড পরিনত করার চেষ্টা করবো।
আমি সকলের কাছে দোয়া ও ভালবাসা চাই এবং আপনারা যেভাবে অতিতেও আমাকে ভালবেসে পাশে ছিলেন, আগামীতেও যেন সেভাবে পাশে থাকেন সকলেই। এলাকাবাসীর দোয়া ও ভালবাসাই আমার চলার পথের শক্তি সঞ্চয় হবে। আমার বাবা আপনাদের পাশে যে ভাবে সব সময় ছিলো আমিও তেমনি ভাবেই থাকতে চাই।
মিরপুর ৬নং ঝিলপাড়া বস্তি ও কালসীর বাউনিয়াবাধ বস্তি আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রুস্থ ও মুরব্বিদের উদ্দেশ্যে বাপ্পী বলেছিলেন, আপনারা আমার বাবা মতোন আপনারা যারা আমার বাবার সাথে ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে তাদের গায়ে আমার বাবার গন্ধ আজও আমি খুজে পাই।
এদিকে এলাকাবাসীরা বলেন, আমাদের ওয়ার্ডে যদি বাপ্পীকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে না পাই তাহলে ভোট কেন্দ্রেই যাবো না। অন্যদিকে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছে রুপনগর থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সালাউদ্দীন রবিন। স্থানীয়রা বলেন, রবিন তো সারাদিন গান বাজনা নিয়েই ব্যস্ত থাকে এলাকার জনগনের কাছ থেকে সে বিচ্ছিন্ন।
লক্ষ্যকরা যায় এলাকাবাসীর মনের ভিতর চলছে চাপা ক্ষোভ, বিরাজ করছে হতাশা দলীয় সিদ্ধান্তে । একজন আরেক জনকে গুন-গুন করে বলতে শুনা যায়, জনগন থেকে বিচ্ছন্ন সালাউদ্দীন রবিনকে কাউন্সিলর হিসেবে মেনে নিতে পারছেনা অনেকেই। তাই এলাকাবাসীরা দলে দলে সলাপরামর্শ করেছে যে ভাবেই হোক তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পীকেই জয়ী দেখতে চান তারা।
পাড়া মহল্লার চায়ের দোকান গুলোতে চলছে কানাঘুষা, দলীয় নমিনেশন যাকে দিলো সে ব্যক্তিটি কোনদিনই এলাকার সাধারণ মানুষের কোনো কালেই উপকারে আসেনি।