(বাংলাদেশ একাত্তর.কম)
আমি জেটুন সাগুফতা (৫০), স্বামী-সৈয়দ পারভেজ, মাতা-রেজিয়া মাহমুদ, সাং-বাড়ী-বি-১৫/৩, সেক্টর-১১/ই, নিউ করাচি, থানা-নর্থ করাচি (সেলিম সেন্টার), জেলা-সেন্টাল, করাচি, পাকিস্তান। এই মর্মে জানাইতেছি যে, বিগত ২৫ বছর পূর্বে বাংলাদেশী নাগরিক সৈয়দ পারভেজ (৫৫), পিতা-সৈয়দ সাকের আলী, মাতা-মৃত রাইছা খাতুন, সাং-রামপুরা, টুরকী বাজার, থানা-মুলাদী, জেলা-বরিশাল মোবাঃ ০১৬৭৫-৪২৬৫০৯ এর সাথে আমার বিবাহ হয়। বিবাহের পর আমার স্বামী আমাকে নিয়া আমার বর্ণিত ঠিকানার বাসায় ঘর সংসার করিয়া আসিতেছিল। আমাদের দাম্পত্য সংসারে ফারজানা নামে একটি কন্যা সন্তান আছে।
গত ইং ২০০৯ সালে আমার মেয়ে ফারজানা কে বাংলাদেশ শরীয়তপুরের নাগরীক ফয়সাল বুখারী (৩৫), পিতা-জাবেদ বুখারী, মাতা-রেহানা বুখারী, সাং-বাড়ী-বি-১৫/৩, সেক্টর-১১/ই, নিউ করাচি, থানা-নর্থ করাচি (সেলিম সেন্টার), জেলা-করাচি, পাকিস্তান ফোন নম্বর 00923160121064 এর নিকট বিবাহ দেই।
বিবাহের পর ফয়সাল বুখারী আমার মেয়েকে নিয়া আমার বর্ণিত ঠিকানার বাসায় ঘর সংসার করিয়া আসিতেছিল। তাহাদের দাম্পত্য সংসারে সৈয়দ মোহাম্মদ জায়েদ আলী (১০), সৈয়দ মোহাম্মদ কাইফ আলী (৮) ও সৈয়দ মোহাম্মদ আরমান আলী (৭) নামে তিনজন পুত্র সন্তান আছে। ইং ২০১১ সালে আমার মেয়ে ফারজানা তাহার ছোট ছেলের জন্মের সময় মৃত্যু বরন করে।
আমার মেয়ের মৃত্যুর পর আমার মেয়ের জামাই ফয়সাল বুখারী অন্যত্র চলিয়া গিয়া দ্বিতীয় বিবাহ করে এবং আমাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করিয়া দেয়। মেয়ের জামাইয়ের খোজে আমার্ পৈত্রিক সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রয় করিয়া দশ লক্ষ টাকাসহ দুই মাসের ভিসার মেয়াদ নিয়া ইং ২০১২ সালে আমার স্বামীর সাথে নাতীদের নিয়া বাংলাদেশে আসি। আমার স্বামী আমাদেরকে তাহাদের গ্রামের বাড়ীতে রেখে আমার টাকা পয়সা নিয়া আমাদের অগোচরে ফ্রান্স চলে যায় এবং আমাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করিয়া দেয়।
ইতি মধ্যে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আমরা নিরুপায় হইয়া স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করিতে থাকি। একপর্যায়ে আমাদের পাসপোর্টের মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। স্বামীর বাড়ীর লোকজন গরিব থাকায় গত ৩ মাস পূর্বে আমি নাতীদেরকে নিয়া ঢাকায় মিরপুরে চলে আসি। আমার নিকট কোন টাকা পয়সা না থাকায় এবং ঢাকায় আমার কোন পরিচিত লোক না থাকায় আমি নাতিদেরকে নিয়া দিনে ঢাকার শহরে ভিক্ষা করি এবং রাত্রে রাস্তার পাশে ফুটপাতে রাত্রী যাবন করি। এভাবে যাচ্ছে আমাদের জীবন। ডেঙ্গু মশার সাথে যুদ্ধ করে ছোট ছোট নাতীদেরকে নিয়া পথে পথে ঘুরে বেরাচ্ছি, থাকা খাওয়া কোন ব্যবস্থা না থাকায় এবং আমাদের ভাষা ভাঙ্গালী লোকজনে তেমন বুঝতে না পারায় ভিক্ষাও তেমন পাচ্ছি না। বিধায় অনেক সময় নাতীদেরকে নিয়া অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে আমাদের। আমি পাকিস্তানের একজন মাস্টার্স পাশ নাগরিক হওয়া সর্ত্বের ভিক্ষা ছাড়া কোন পথ নাই আমার।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপাকে ছাড়া আমাদের পাকিস্তান যাওয়া কোন মতে সম্ভব না। বিধায় আমরা তাহার সহযোগীতা কামনা করছি। আমরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার মাধ্যমে পাকিস্তান যেতে পারি তাহলে মহান আল্লাক পাক রব্বুল আল আমিনের কাছে তাহার জন্য মন খুলে দোয়া করবো।
আমার পাকিস্তানের পাসপোর্ট নং-B5662635, আমার নাতী সৈয়দ মোহাম্মদ জায়েদ আলী (১০) এর পাকিস্তানের পাসপোর্ট নং-B5626962, সৈয়দ মোহাম্মদ কাইফ আলী (৮) এর পাকিস্তানের পাসপোর্ট নং-B5626926, ও সৈয়দ মোহাম্মদ আরমান আলী (৭)এর পাকিস্তানের পাসপোর্ট নং-Kh334513.
যোগাযোগের ঠিকানাঃ সেকশন-১২, ব্লক-সি, রোড-৯, বাসা-১, থানা-পল্লবী, ঢাকা, মোবাঃ 01721-502727,