শনিবার , ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ সংবাদ
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

কালসী রোডে বস্তি পুড়ে ছাই

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯ ১:০৫ পূর্বাহ্ণ

(সোহেল রানা) রাজধানীর মিরপুর কালশী মেইন রোডের পাশের বাউনয়িাবাদ এলাকায় বস্তির আগুন এখন নিয়ন্ত্রনে। দুই শতাধিক বস্তি ঘর পুরে গেছে।

  1. তবে মানুষের হতাহতের ঘটনা না হলেও দুইটি পালিত গবাদিপশু মারা গেছে বলে জানা যায়।
  2. বস্তিবাসির দাবি আগুন লাগার প্রায়ই আড়াই ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আসে পরে আরও দুটি ইউনিট যোগ হয়। কিন্তু তার আগেই পুড়ে সব ছাই হয়েগেছে। এবং পানি স্বল্পতার কারণেও ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।

    সব পুড়ে শেষ যখন সার্ভিস হাজির তখন-অভিযোগ বস্তিবাসির।

  3. তবে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেক বলা হয়েছে আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মিরপুর স্টেশনের গাড়ি পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২ টা ১১ মিনিটে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে রাত সোয়া ৩টার সময় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক সালেহ উদ্দীন আহমেদ।বস্তিবাসিদের অভিযোগ, আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে প্রায় দুই ঘণ্টা দেরি হয়েছে। শুধু তাই না, ঘটনাস্থলের আগুন নিভানোর মতো পানির স্বল্পতা ছিল। এ কারণেই বস্তি পুড়ে ছাই হয়ছে ১০০%।তবে আগুন নিয়ন্ত্রনের পর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক সালেহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ১২টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় আমাদের কন্ট্রোল রুম। এরপর মিরপুরের ফায়ার স্টেশন থেকে চারটি ইউনিট রাত ১টা ৪ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করে। আগুনের তীব্রতা দেখে আরও ইউনিটের সাহায্য চাওয়া হয়। এরপর উত্তরা, কুর্মিটোলাসহ আশপাশের ১১টি ইউনিট এসে যোগ হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।সবার অক্লান্ত চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সম্ভব হয়েছে ।বস্তিতে অবৈধ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ থেকে হয়তোবা কোনো সর্ট সার্কিট হয়ে এ আগুন ধরতে পারে । গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে মনে করেন এই পরিচালক । এই বস্তিতে বেশির ভাগ প্লাষ্টিকের ভাঙড়ির গোডাউন ও দোকান ছিলো। সেখান থেকেও আগুন লাগতে পারে। তবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তখন কমিটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যাবে আগুন লাগার প্রকৃতপক্ষের কারণ কি ছিলো। এখন ও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দেরিতে এসেছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ফায়ার সার্ভিসের এই সহকারী পরিচালক বলেন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী পৌছাতে দেরি হয়নি এটি একদমই ভিত্তিহীন অভিযোগ।  
  4. স্থানীয়রা জানান , বাউনিয়াবাধ এলাকা আগুনে পু্রে ছাই হওয়ার কারনে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন বাস্তিবাসিরা শীতের তাপমাত্রাও বেশি গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি সব কিছু মিলিয়ে চরম বিপাকে গভির রাতে বস্তিবাসী। তবে অনেকেই ধারণা করছেন বস্তি খালি করার জন্য কোন কুচক্রী মহল এঘটনা ঘটাতে পারে! দেখা যায় বস্তি পড়ে যাওয়ার পর যে যা পারছে পুড়া টিন লোহা ভাঙরির দোকানে নিয়ে বিক্রি করছে।এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইলয়িাস মোল্লা, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, সহায়-সম্বলহীন মানুষগুলোর পাশে আমরা আছি পাশে থাকবো সব সময়। প্রাথমিকভাবে বস্তিবাসীরা পাশের আনন্দ নিকেতন স্কুলে আশ্রয় নিতে পারবেন বলে (বাংলাদেশ একাত্তর.কম

    কালসী রোডে বাউনিয়াবাধ পুড়া বস্তি।

    কে জানান।

    এদিকে বাংলাদেশ একাত্তর.কম কে বস্তিবাসীরা বলেন, সারাদিন পেশাদারীত্ত কাজ করে বাসায় এসে খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমাতে যাবো সেই মুহুর্তে আগুন দেখে চিৎকার চেচামেচি করলেও কেউ শোনেনি যখন শুনছে তখন আমাদের সব শেষ। আমরা এখন এই শীতে কোথায় যাবো কি করে আবার সব ঠিক করে নিবো কিছুই বোঝে উঠতে পারছিনা। বস্তির এই ঘটনা শুনে আজ শুক্রবার সকাল থেকেই জড়ো হয় মিরপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন পেশাজীবি লোকজন।

সর্বশেষ - রাজনীতি