বুধবার , ২৭ মার্চ ২০১৯ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

 পালাতে গিয়ে আবরারকে চাপা দেয় কনডাক্টর

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
মার্চ ২৭, ২০১৯ ৭:২৮ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর শাহজাদপুর এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে চাপা দিয়ে গুরুতর জখম করে। এরপর বাসের যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে চালক সিরাজুল ইসলামকে আটক করে ট্রাফিক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। উপস্থিত জনতা বাস ভাংচুর চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় মালিকের নির্দেশে ড্রাইভিং সিটে বসে পড়েন কনডাক্টর ইয়াছিন আরাফাত। বাস নিয়ে দ্রুত পালাতে গিয়ে নর্দ্দা পার হতেই বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার আহমেদকে চাপা দেয়। ফলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবরারের।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে ইতোপূর্বে গ্রেফতার সিরাজুলকে জিজ্ঞাসাবাদে আসল তথ্য বেরিয়ে আসে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে চাঁদপুরের শাহরাস্তি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবরারকে চাপা দেয়ার সময় চালকের আসনে থাকা কনডাক্টর ইয়াছিন আরাফাতকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার সকালে রাজধানীর মধ্যবাড্ডা এলাকা থেকে হেলপার ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করা হয়। ইতোপূর্বে গ্রেফতার সিরাজুলকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, গত ১৯ মার্চ ভোরে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকা থেকে ভোর পৌনে ছয়টার দিকে গন্তব্যে রওনা দেয় সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটি (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫)। পথিমধ্যে বাসটি রাজধানীর শাহজাদপুরের বাঁশতলা এলাকায় মিরপুর আইডিয়াল গার্লস ল্যাবরেটরী কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সিনথীয়া সুলতানাকে চাপা দিয়ে গুরুতর জখম করে।

এরপর বাসের যাত্রীরা চালক সিরাজুলকে আটক করে ট্রাফিক পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। ইয়াছিনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, এ সময় উপস্থিত জনতা বাসের ক্ষতি করতে পারবে এমন আশঙ্কায় বাস মালিক ননী গোপালের নির্দেশে ড্রাইভিং সিটে বসেন কনডাক্টর ইয়াছিন। কোনধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা স্বত্ত্বেও বাস নিয়ে দ্রুত পালানোর সময় নর্দ্দা এলাকা পার হতেই বিইউপি শিক্ষার্থী আবরারকে চাপা দিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর ইয়াছিন বাসটি রেখে আত্মগোপণে চলে যায়। পরে মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুরের শাহরাস্তি এলাকার একটি ইটের ভাটা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সকালে মধ্যবাড্ডা থেকে বাসের হেলপার ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ইয়াছিন প্রাথমিকভাবে বাসচাপা দিয়ে আবরারকে খুনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এছাড়া, বাস মালিক ননী গোপাল ডিবির নজরদারীতে রয়েছে বলেও জানান আব্দুল বাতেন।

 

সর্বশেষ - সর্বশেষ সংবাদ