বুধবার , ১৮ জুলাই ২০১৮ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

পল্লবীথানা’র ওসি’র বিদায় সংবর্ধনা।

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
জুলাই ১৮, ২০১৮ ৯:২৯ অপরাহ্ণ

শেখ রাজুঃ বাংলাদেশ একাত্তর।।

 গতকাল ঢাকার রাজধানী পল্লবী থানা হতে দায়ীত্ত থেকে বিদায় নিলেন ওসি দাদন ফকির। ওসি দাদন ফকিরের বিদায় শুনে কেঁদেছেন এলাকাবাসি আর খুশিতে নেচেছেন মাদক ব্যবসায়ী চাদাবাজ ও ধান্দাবাজ গুলো। ওসি দাদন ফকির বিগত তিন বছর দূই মাস পল্লবী থানার দায়ীত্ব পালন করেছেন অতি সুনামের সাথে।

 পুলিশ জনগনের বন্ধু সন্ত্রাসীদের শত্রু তা নিস্বঃসন্ধেহে প্রমান করছেন ওসি দাদন ফকির। পল্লবী থানায় দায়ীত্বে কালে সে কোন অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি। মাদক অভিযানে তাকে দেখা গেছে সবার আগে। পুলিশ সকল অপরাধীকে ধরে খাচায় রাখতে পারে তার প্রমান ওসি দাদন ফকির। পুলিশ চাইলে পারেনা এমন কোন কাজ নেই। মিরপুর-১২, ব্লক-এ, থানা রোডে পনেরো ষোলো বছর ধরে জনগনের হাটা চলার ফুটপাত, অবৈধ ভাবে দোকান বসিয়ে চাঁদা নিতো এবং মেইন সড়ক জুড়ে বাস গাড়ী রাত হলেই পার্কিং করে চাঁদা নিতো চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা। এখন সেই সড়কে কোন বাস নেই,ফুট পাতে কোন অবৈধ দোকান নেই। মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজদের চোখেই পড়েনা বললেই চলে।
মাঝে মাঝে কিছু চাঁদাবাজরা চায়ের দোকানে বসে বলা বলি করতে শোনা যেত, কবে যে ওসি বদলি হবে আর আমাদের কপাল খুলবে। ওসি দাদন ফকির তিন বছর দূই মাস পল্লবী থানায় নিষ্ঠার সাথে তার দায়ীত্তে পালন করেন। এলাকাবাসি অনেকে ওসি দাদন ফকিরের নাম দিয়েছেন ফাটা কেষ্ট! এলাকার ছ্যাছড়া পাতি মাস্তান থেকে রাঘব বোয়ালরাও আতংকে দিন কাঁটাতো ওসি দাদন ফকিরের ভয়ে। তার সময়েই পল্লবী থানার নিজস্ব ভবনের কাজ শুরু কর হয়। রাজনৈতিক নেতাদের সাথে যুদ্ধ করে পল্লবী থানার জন্য নিজস্ব জায়গা তিনি আদায় করে নিয়েছেন। ওসি দাদন ফকিরের সময়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে
কোন অন্যায় পল্লবী থানায় কেউ করতে পারেনি। যে কোন সাধারণ মানুষের জন্য তার দরজা খোলা ছিল।
পল্লবী থানা সুত্রে জানা যায় যে,ও সি দাদন ফকির পল্লবী থানা হতে বিদায় নিয়ে আগামী তারিখ ২০/০৭/ ২০১৮ইং তে, মিরপুর মডেল থানায় অফিসার্স ইন্চার্জ হিসাবে কাজে যোগদান করার কথা রয়েছে। এবং মিরপুর মডেল থানার ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম পল্লবী থানায় অফিসার্স ইন্চার্জ হিসাবে কাজে যোগদান হবেন বলে জানা যায়।
এখন এলাকাবাসির মনে প্রশ্নঃ পল্লবী থানার নুতন ওসি কি শক্ত হাতে দমন করতে পারবেন? সন্ত্রাসীদের।
আবার কেউ কেউ বলছেন, পল্লবীর নুতন ওসি যিনি আসছেন তিনিও অনেক কড়া ও ভালো মনের মানুষ। আবার কেউ কেউ বলাবলি করছে, যে আসে আসুক, চাদাবাজ মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারি ও ফুটপাত দখল কারিদের দমন করে রাখতে পারলেই আমরা এলাকাবাসি ধন্য ও শান্তিময় হবো।
উক্ত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনাব, দাদন ফকির, অফিসার্স ইন্চার্জ পল্লবী থানা। উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এবি,এম জাকির হোসেন। এ,সি পল্লবী (জোন) অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ- মোঃ নজরুল ইসলাম অফিসার্স ইন্চার্জ মিরপুর মডেল থানা। বিশেষ অতিথিঃ ১- জনাব, সামীম শিকদার,অফিসার্স ইন্চার্জ কাফরুল থানা। বিশেষ অতিথিঃ ২-শেখ মোঃ শাহ আলম, অফিসার্স ইন্চার্জ রূপনগর থানা। উপস্থিত ছিলেন ইকবাল হাওলাদার, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর অন্যতম বিপ্লবী নেতা, পল্লবী থানা। আরও অনেকে.
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওসি দাদন ফকির বলেন, সাদা’কে সাদা আর কালো’কে কালো বলাই আমার ধর্ম। বক্তব্যের শেষে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য সমাপ্তি করেন।
এবি এম জাকির হোসেন, বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার যে, সন্মান প্রদান করেছেন তা বিগত কোন সরকারের আমলে পুলিশ তা পাইনি। তিনি আরও বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকলে আমরা আরও অনেক সন্মান পাবো বলে আমার বিস্বাস। বাংলাদেশকে “মাদক মুক্ত” সন্ত্রাস মুক্ত” চাদাবাজ মুক্ত” অবৈধ দখলসহ সকল অপরাধ মুক্ত করে সোনার বাংলা করতে হবে, দেশ বাসির কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন এবি এম জাকির হোসেন,এসি পল্লবী জোন।
মিরপুরের সকল থানা হতে পুলিশ অফিসার সদস্যরাও ফুলের তোড়া দিয়ে বিদায় সংবর্ধনা জানায় ওসি দাদন ফকির”কে । দেখা যায় আওয়ামীলীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এর অনেক নেতা কর্মিদের ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে কমিনিউটি সেন্টারে প্রবেশ পথে! উক্ত অনুষ্ঠানে শত শত মানুষ একনজর ওসি দাদন ফকির কে দেখতে ভিড় করে পল্লবী ২-নং কমিনিউটি সেন্টারের ২য় তলায়। উক্ত অনুষ্টানটি বিকেল তিনটায় শুরু হয় ও নানা আয়োজনের মদ্ধ্যদিয়ে রাত ১০টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়

সর্বশেষ - সর্বশেষ সংবাদ