রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে পরিকল্পিত হামলা; ছুরিকাঘাতে গলা ও মুখে গুরুতর জখম যুবদল কর্মী, জনতার হাতে এক হামলাকারী আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক: বুধবার ১২ নভেম্বর ২০২৫
রাজধানীর পল্লবীতে প্রকাশ্য সড়কে যুবদল কর্মী মো. লাবুর ওপর নৃশংস হামলার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির ঘনিষ্ঠ সহযোগী হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো এ হামলায় লাবু গুরুতর জখম হন। বর্তমানে তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী আফরুজা আক্তার (৩৩) মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) পল্লবী থানায় দায়ের করা এজাহারে জানান, তার স্বামী মো. লাবু একজন রেডিমেড পোশাক ব্যবসায়ী ও যুবদলের কর্মী। রাজনৈতিক বিরোধের কারণে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মেজবাউল হক সাচ্চুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হারুন অর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, ওইদিন দুপুর দেড়টার দিকে লাবু মিরপুর-২ থেকে পুরবী সুপার মার্কেটের পথে রওনা হন। পল্লবীর সেকশন-৬ কাঁচাবাজার সংলগ্ন মুরগির বাজারের সামনে পৌঁছালে হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে রাশেদ, কবির, আবুলসহ আরও ৮–১০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি দলবদ্ধ হয়ে তার পথরোধ করে। পরে তারা এলোপাতারি লাঠিপেটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হারুন অর রশিদ হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে লাবুর গলা ও মুখে একাধিক কোপ মারেন, এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। লাবু চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং হামলাকারীদের মধ্যে হারুন অর রশিদকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা আহত লাবুকে তার সহযোগী মঈন খানের সহায়তায় উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে আত্মীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করে বাদী আফরুজা আক্তার থানায় মামলা দায়ের করেন।
পল্লবী থানার এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, আটক হারুন অর রশিদকে থানায় আনা হয়েছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ ঘটনায় পল্লবী এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সংঘটিত এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি


















