সোমবার , ২২ জানুয়ারি ২০১৮ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

জেল-জরিমানা লাইসেন্স ছাড়া কৃষি কাজের জন্য নলকূপ স্থাপন করলে

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
জানুয়ারি ২২, ২০১৮ ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ

লাইসেন্স ছাড়া কৃষি কাজের জন্য নলকূপ স্থাপন করলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে সংসদে আইন পাস। ‘কৃষি কাজে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১৮’ নামে একটি বিল রবিবার জাতীয় সংসদে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী পাসের প্রস্তাব করলে তা কন্ঠভোটে পাস হয়। কৃষি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা এবং সেচ কার্যে পানির অপচয় হ্রাস এবং ভূ-গর্ভস্থ পানির সুপরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করতেই বিলটি আনা হয়।

বিলটি জনমত যাচাই ও বাছাইয়ের প্রস্তাব দেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির একাধিক সংসদ সদস্য। তাঁদের প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে সংসদে আলোচনা করলেও কণ্ঠভোটে তাঁদের সেই প্রস্তাবগুলো নাকচ হয়ে যায়। বিরোধী দলের আনা সংশোধনী প্রস্তাবগুলোও কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিলটি পাসের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে দিলে তা সর্বাধিক সদস্যের সমর্থনে পাস হয়।

জনমত যাচাই-বাছাইয়ের প্রস্তাবের আলোচনার জবাব দিতে গিয়ে কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, আলোচনায় সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন আমাদের পানির স্তর ক্রমেই নিচে নেমে যাচ্ছে। এভাবে কমতে থাকলে আমাদের পানির স্তর ভেদ করে গিয়েও একসময় পানি পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে। সেজন্য একটা জায়গায় থামতে হবে। সেই লক্ষ্যে সরকারের বৃহৎ পরিকল্পনা রয়েছে। আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আইনটি যথাযথ করা হচ্ছে।

নলকূপ স্থাপনে লাইসেন্স নেওয়ার বিধান আগের অধ্যাদেশেও ছিল। পাসকৃত বিলে লাইসেন্স ছাড়া নলকূপ স্থাপনে দন্ডের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। আগের আইনে লাইসেন্স ছাড়া কৃষির জন্য নলকূপ স্থাপনে আগে জরিমানা ছিল সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা। পাসকৃত বিলে আইনে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা বা অনাদায়ে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড।

বিলে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নলকূপের লাইসেন্স স্থগিত ও বাতিল করতে পারবে। বিদ্যমান নলকূপগুলোকে সময় দিয়ে লাইসেন্স নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। এছাড়া, যদি কোনও লাইসেন্স এক বছরের মধ্যে তিনবার স্থগিত হয়, তবে উপজেলা পরিষদ শুনানি করে তা বাতিল করতে পারবে বলেও বিলে বিধান রাখা হয়েছে। তবে আগের আইনের মতোই বিলে উপজেলা সেচ কমিটির বিধান রাখা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণ এবং পুষ্টি বিধানের লক্ষ্যে কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি কাজে সেচ সুবিধা ও সেচ এলাকা সম্প্রসারণের পানির সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। সেচ কাজে পানির অপচয় হ্রাস এবং ভূ-গর্ভস্থ পানির সুপরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি ও শস্যের বহুমুখীকরণের জন্য বিলটি আনা হয়েছে।

সর্বশেষ - সর্বশেষ সংবাদ