মঙ্গলবার , ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

চরভদ্রাসনে জেগে ওঠা পদ্মার চরে রাস্তা নির্মানের দাবী এলাকাবাসীর।

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮ ৫:২৬ অপরাহ্ণ

নাজমুল নিরব খান,ফরিদপুর চরভদ্রাসন প্রতিনিধি

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়া ইউসুপ শিকদার ডাঙ্গী গ্রাম, তমিজখার ডাঙ্গী ও হাজ্বী নজু মোল্যার ডাঙ্গী গ্রামের পদ্মার বুকে জেগে ওঠা বিস্তৃর্ণ উর্বরা চরে পূনঃবসতির জন্য রাস্তা নির্মানের জোর দাবী তোলেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। প্রায় ২০ বছর আগে পদ্মা নদীর ভাঙনে সর্বস্ব বিলীন হওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্থরা বেড়িবাঁধ সড়কে, পাকা রাস্তার দু’ধারে ও বিভিন্ন খাস জমিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করে আসছিল। গত ক’বছর ধরে পদ্মার বুকের ওইসব গ্রামগুলোর উর্বরা জমি জেগে ওঠায় ভাঙন কবতিরা চাষাবাদ করে চলেছেন। কিন্ত জেগে ওঠা পদ্মার চরে স্থায়ী বসতির জন্য প্রায় ৫ কি.মি. আয়তনের একটি রাস্তা নির্মানের জোর দাবী তোলেছেন চরবাসী। রবিবার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো জেগে ওঠা চরে রাস্তা নির্মানের দাবী তোলে ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন পত্র পেশ করেছেন।
আবেদনে বলা হয়, ১৯৯৮ সালে পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া উপজেলার উক্ত তিনটি গ্রামে প্রায় ৭শ’ পরিবারের বসবাস ছিল। পদ্মার ভাঙনের পর দুস্থ পরিবারগুলো উপজেরার বেড়িবাঁধ সড়ক, পাকা রাস্তা ও খাসজমি সহ যত্রতত্র বসবাস করে আসছেন। গত ৫ বছর আগে বিলীন হওয়া উক্ত তিনটি গ্রাম পদ্মার বুকে আবার জেগে ওঠলেও একটি রাস্তার অভাবে কৃষকরা উর্বরা জমিতেও বসবাস গড়তে পারছেন না। পদ্মার ওই চরে একটি রাস্তা নির্মান করা হলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো তাদের নিজের জমিতে পূনর্বাসন করা সম্ভব হবে। এতে উপজেলার বেড়িবাঁধ সড়ক ও পাকা রাস্তাগুলো থেকে জনবসতির চাপ কমে আসবে। ফলে উপজেলার মূল্যবান বেড়িবাঁধ সড়ক সহ পাকা রাস্তাগুলো নিরাপদে থাকবে। রবিবার উপজেলা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “ এ বছর চরাঞ্চলে বিষধর সাপের উপদ্রব অত্যন্ত বেশী। জেগে ওঠা পদ্মার চরে রয়েছে বিস্তৃর্ণ কাঁশবন। উক্ত চরে ইতিমধ্যে কাঁশবন কাটতে গিয়েও বিষধর সর্প দংশনে দু’জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্ত ওই চরে একটি রাস্তা থাকলে আহতদের যথা সময়ে হাসপতালে এনে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করা যেতো। তাই ভাঙন কবলিত পরিবারগুলোর জানমাল রক্ষার্থে জেগে ওঠা চরে একটি কাচা রাস্তা জরুরী দরকার বলে তিনি জানান”।

সর্বশেষ - সর্বশেষ সংবাদ