নাজমুল নিরব খান চরভদ্রাসন প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা প্রশাসনের সামনে দিয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ ধ্বংশ হতে
থাকলেও নিরব ভূমিকা পালন করছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা সদরের মধ্য বিএস ডাঙ্গী গ্রামের বাইপাস সড়ঁকে এলাকাবাসীর চলাচলের সুবিধার জন্য ২০০১ সালে একটি ব্রীজ
নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ব্রীজটি ছিল খুবই নিন্মমানের।
খোজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েকমাস ধরে উপজেলার গোপালপুর ঘাট ইজারাদার বাবুল শিকদার তার ব্যক্তিসার্থে
পার্শ্ববর্তি এমপি ডাঙ্গী গ্রামের ঝুঁকিপুর্ণ পদ্মার পাড়ে নৌপথে বিভিন্ন পন্য বোঝাই বড় বড় কার্গোর মাল উঠা-নামানোর
কাজ পরিচালনা করে আসছে।
এদিকে, প্রতিদিন সেই মালামাল আবার সড়ঁক পথে বড় বড় ট্রাক ও লড়ীতে অতিরিক্ত পন্য বোঝাই করে এমপি ডাঙ্গীর
প্রধান সড়ঁক হয়ে মধ্যে বিএস ডাঙ্গীর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ দিয়ে ফরিদপুর, কানাইপুর ও বোয়ালমারী সহ আরো বিভিন্ন যায়গায়
পৌছে দিচ্ছে। ফলে প্রতিদিন সরু রাস্তা ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ দিয়ে ভাড়ী ভাড়ী যানবাহন চলাচলে রাস্তাসহ ব্রীজটি
ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়ে ধ্বংশের মুখে পতিত হচ্ছে। আর এগুলো হচ্ছে স্থানীয় উপজেলা প্রশানের নিরব ভূমিকা ও সঠিক
তদারকির ব্যর্থতায়।
এব্যাপারে গত বুধবার উপজেলা প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি এসময় আক্ষেপ করে বলেন, এই
একটি মাত্র ব্যক্তির ব্যক্তিসার্থে আমার সরকারের প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংশ করে দিচ্ছে। তিনি জানান
ঐ রাস্তা দিয়ে সর্বচ্চ ১০ টন মালামাল যানবাহন চলার ধারন ক্ষমতা রয়েছে। আর সেখানে প্রতিদিন ঐ রাস্তা ও ঝুঁকিপূর্ণ
ব্রীজটি দিয়ে ২০/২২ টন ভাড়ী ভাড়ী যান চলাচল করছে।
অপরদিকে, এমপি ডাঙ্গী প্রধান সড়ঁকের পাশে পদ্মা রক্ষা বাধঁটিতে ভাঙন রোধেঁ কয়েক দফায় জিও ব্যাগসহ আরো
অন্যান্য সরঞ্জাম সামগ্রীদিয়ে তৈরি করলেও বাধঁটি প্রতিদিন বড় বড় কার্গো বোঝাই মালামাল খালাস করায় ভাঙনের
মুখে পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুক্ষীন হচ্ছে বলে জানা যায়।স্থানীয় এলাকাবাসী গত সোমবার
পদ্মার ভাঙ্গন রোধে একটি মানব বন্ধন করে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চায়।
আর এভাবে চলতে থাকলে অল্পদিনের মধ্যেই রাস্তা সহ ঐ ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি ধ্বংশ্ব হয়ে যাবে। প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ
আরো বলেন আমি এব্যাপারে উক্ত ঘাট ইজারাদারকে কয়েকবার নোটিশ পাঠানোর পর সে আমাকে ঐ সরু রাস্তা ও ঝুঁকিপূর্ণ
ব্রীজ দিয়ে আর কোন যানবাহন চলবেনা বলে কথা দিয়ে থাকলেও সে এখন তার কোন কথা রাখছেনা। তিনি বলেন, আমি
এব্যাপারে ইউএনও- স্যারকে, চরভদ্রাসন থানা ইনচার্জকে সহ আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
এদিকে, উপজেলার নবাগত ইউএনও কামরুন নাহার এর কাছে ক্ষতিগ্রস্থ্য রাস্তা ও ব্রীজটিকে ধ্বংশ্বের হাত থেকে বাচাঁতে
কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে, আমি এখন ব্যস্ত। আমি এ বিষয়ে আপনাদের সাথে পরে
কথা বলব বলে বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনও তিনি এ ব্যাপারে কাউকে উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানান
নি।