(বাংলাদেশ একাত্তর) অনলাইন ডেক্সঃ
গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যা’লয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য খোন্দকার নাসির’উদ্দিন পদত্যাগ’পত্র জমা দিয়েছেন।
অনি’য়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা’র অভিযোগে’ তাঁকে প্রত্যাহা’রে তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরদিন আজ’ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণা’লয়ে পদত্যাগ’পত্র জমা দেন তিনি। আজ’ সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী দিপুমণি বলেন, আমরা খোন্দকার নাসির’উদ্দিনের পদত্যাগ’পত্র পেয়েছি। এখন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, খোন্দকার নাসির’উদ্দিনের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা’র অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন’ (ইউজিসি) ‘কমিটি গঠন করে। সেই’ কমিটি গতকাল’ রোববার তাঁকে উপাচার্যের পদ থেকে প্রত্যাহা’রের সুপারিশ করে।এরপর গতকালই সন্ধ্যা’র পর পুলিশ প্রহরায় বিশ্ববিদ্যা’লয় ক্যাম্পাস’ ছেড়ে যান তিনি।
উপাচার্যের পদত্যাগের এক’ দফা দাবিতে ১৮ সেপ্টেম্বর’ থেকে টানা আন্দোলন করছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যা’লয়ের শিক্ষার্থীরা। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে উঠে নিয়োগ, ভর্তি ও কেনাকাটা থেকে শুরু করে একের পর এক বিশ্ববিদ্যা’লয়ের নানা কাজে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ।
এ ছাড়াও উঠে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দমিয়ে রাখতে বহিষ্কার, অশোভন, আচরণ, কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার ঘটনা’ নিয়েও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভে’র সৃষ্টি হয়। শুধু তা-ই নয়, উপাচার্যের মতো একটি সম্মানিত পদে থাকা খোন্দকা’র নাসির’উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি’র মতো গুরুতর অভিযোগ নিয়েও গণমাধ্যমে সংবাদ’ হয়েছে। এমনকি উপাচার্য তাঁর বাস’ভবনের কাছে একটি বিউটি পারলারে’র অনুমোদন দিয়েও আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন তিনি।
সব’শেষ অভিযোগ হলো, প্রশাসনের নির্দেশে আন্দো’লনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হাম’লা করা হয়েছে, যার প্রতিবাদে তাঁরই প্রশাসনের দুজন সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করে’ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যা’লয়টির শিক্ষা’র্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের এক’ দফা এক’ দাবিতে গত’ টানা ১১ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। এমন প্রেক্ষা’পটে ২৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণা’লয় ইউজিসিকে ওই বিশ্ববিদ্যা’লয়ের সামগ্রিক তথ্যাদি জানাতে অনুরো’ধ করে। এর পর’দিন ২৪’ সেপ্টেম্বর ইউজিসি’র সদস্য মুহাম্মদ আলমগীর’কে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি’ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।