সোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০১৯ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ সংবাদ
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

খোকসায় আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে চেয়ার দখল কেন্দ্র করে সংর্ঘষে আহত ১৫

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
নভেম্বর ২৫, ২০১৯ ৫:৩৩ অপরাহ্ণ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরুর আগেই সভা স্থলের চেয়ার দখল কেন্দ্র করে দ্বিধা-বিভক্ত নেতা কর্মীদের মধ্যে সংর্ঘষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। উত্তেজিত কর্মীরা ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন পয়েন্টে দুই পক্ষ অবস্থান নিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।

সোমবার দুপুর ২টায় খোকসা জানিপুর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সাত বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু সকালে সাড়ে নয়টার আগেই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের অংশ ও কুষ্টিয়া ৪(খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জের সমর্থক ও নেতা কর্মীরা সভাস্থলের চেয়ার দখলের চেষ্টা করে। এ সময় হলুদ গেঞ্জি পরা এমপি সমর্থিত উপজেলা সভাপতি বাবুল আখতারের কর্মী সমর্থকদের সাথে সাদা গেঞ্জিপরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সমর্থক মেয়র তারিকুল ইসলামের সমর্থকদের সাথে সংর্ঘষ বাঁধে। বৈঠা ও দেশীয় আস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা ধাওয়া পাল্টা ধায়া শুরু করে। মুহুর্তের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পরলে খোকসা ইউনিয়নের ক্লাবমোড়, তেল পাম্প, বাস ষ্টান্ডেসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দুই দলের কর্মী সমর্থকেরা লাঠি সোটা নিয়ে অবস্থান নেয়।

সভাস্থলে হামলায় আহত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভাতিজা রবিন খান (২৮), জয়নাল মোল্লা (৫৫), শ্রমিক লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল (৪৩), আকাশ (১৮), আছিব (১৬), উজ্জল (৪৮), সাগর (২৬), নয়ন (৩০), লিটন (৩০), জিহাদ (১৭), দুলাল (২৮), মতিন শেখ (৩৫), হজরত (৩২) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিল। এ ছাড়া বাঁকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনার পর সভাস্থল ও গুরুত্বপূর্নস্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরীন কান্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নূরানী ফেরদৌস দিশা চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যান।

সম্মেলন কমিটির সদস্য জানান, হামলার পর আহত কর্মী সমর্থকদের নিয়ে তারা ব্যস্ত রয়েছে। অপর দিকে উপজেলা সভাপতি বাবুল আক্তার জানান, কেন্দ্রীয় নেতারা জেলায় অবস্থান করছেন। নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, গুরুত্বপূন আট পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া সম্মেলন স্থলে চারিদিকে সাদা পোষাকের পুলিশ রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ - রাজনীতি