শেখ রাজু : রাজধানীর মিরপুর পল্লবীতে মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে পল্লবী থানা পুলিশ ফাড়ির ইনর্চাজ এস আই মোঃ রবিউল আউয়াল মুসলিম বাজারের একটি অংশের ফুটপাথ উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এ সময় মুসলিম বাজারের উত্তর পাশে থাকা প্রায় ৭০ টি ফুটপাথ দোকান উচ্ছেদ করা হলেও অজ্ঞাত কারণবশত রেখে দেয় অন্য পাশের ফুটপাথ দোকান গুলি।
পল্লবী থানাধীন এলাকায় মুসলিম বাজারের চর্তুপাশে হঠাৎ করেই ফুটপাথ বাজার বসিয়ে ধান্দা বাজি শুরু করে একটি চক্র। ফুটপাথ বাজার নির্বিঘে পরিচালনার আশ্বাস দিয়ে থানা পুলিশের নাম করে ফুটপাথ দোকানীদের কাছ এই চক্র হাতিয়ে নেয় প্রায় সাড়ে চার লক্ষধিক টাকা। টাকা উঠানোর বিষয়ে দুই নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ফুটপাথ বসানোর জন্য পুলিশের কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা উঠেছে এটা আমি শুনেছি কিন্তু কে বা কারা এই টাকা তুলেছে তা আমি জানিনা।
মঙ্গলবার সকালে মুসলিম বাজার ফুটপাথ উচ্ছেদের পর পরই ফুটপাথ দোকানীদের সাথে নিয়ে পল্লবী থানার সামনে জড়ো হয় ফুটপাথ পরিচালনাকারী একটি চক্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফুটপাথ দোকানী বলেন থানার সাথে সমঝোতার কথাবার্তা চলছে আমরা আগামীকাল থেকেই আবার ফুটপাথ চালু করতে পারবো। এ বিষয়ে পল্লবী থানার পুলিশ ফাড়ির এস আই রবিউল আউয়ালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলাদেশ একাত্তরকে বলেন, আমি আমার দায়ীত্ব পালন করেছি ফুটপাত জনগনের হাটা চলার পথ। এই ফুটপাত দখলের কারনে সাধারণ জনগন হাটা চলা করতে অসুবিধা হয়, যানজট লেগেই থাকে। তিনি আরও বলেন, ফুটপাত জনগনের-দখলবাজ আর চাদাবাজদের নয়। মসজিদে মুসল্লীরা যেতে ও রোগী অসুস্থ হলে এম্বুলেন্স আসা-যাওয়া করতে পারেনা। অন্যদিকে এ উচ্ছেদ অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
তবে ফুটপাত দখলকারী দোকানীরা অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমরা এলাকার নেতাদের টাকা দিয়েই তো দোকান চালাই। মুসলিম বাজারে যেখানে মার্কেট ছিলো সেখানেও লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েও দোকান পেতে হিমসিম খাচ্ছি। এখন আবার শুনছি যারা বেশি টাকা দিবে তারাই দোকান পাবে।ব্যবসা তো নেতারাই করছে তাদের তো পুলিশ ধরেনা সাংবাদিক ও লিখেনা। এখানে মুক্তিযোদ্ধার আড়ালে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাই বেশি।