বৃহস্পতিবার , ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

৮ ফেব্রুয়ারি,ঢাকাসহ সারা দেশ থাকবে আওয়ামী লীগের দখলে। ওবায়দুল কাদের,

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৮ ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ

৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া বড় জমায়েত রেখে আদালতে রায় শুনতে যাবেন—এ বিষয়টি মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। পাশাপাশি সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও থাকবে সতর্ক অবস্থানে। ইতিমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে তল্লাশি শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ছাড়া মেস ও বাসাবাড়িতেও তল্লাশি করছে পুলিশ। খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি দেবে না। তবে ‘প্রয়োজনে পুলিশকে’ সহযোগিতা করার কথা বলেছে দলটি। কোনো কর্মসূচি থাকবে না বললেও কার্যত ঢাকাসহ সারা দেশ থাকবে আওয়ামী লীগের দখলে। এর জন্য দলের পক্ষ থেকে বড় ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৮ ফেব্রুয়ারি ভোর চারটা থেকে মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ করেন। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এ ঘোষণা কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়। এ কারণে বিএনপির কর্মীরা ইচ্ছা করলেও রাস্তায় কোনো ধরনের বিক্ষোভ প্রদর্শন কিংবা কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারছেন না।

ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আজ থেকে সতর্ক, সজাগ থাকবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ পুলিশকে সহায়তা করবে।’

এর আগে গত রোববার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক যুব সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি রায়কে কেন্দ্র করে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা কোনো কর্মসূচি রাখতে বলেননি। যদি বিএনপি বিশৃঙ্খলা করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, ‘ওই দিন আমাদের (আওয়ামী লীগ) কোনো কর্মসূচি নেই, দেব না।’

রায়কে কেন্দ্র করে কর্মসূচির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য বলেন, কোনো বিশৃঙ্খলা যেন না হয়, সে জন্য শান্তিপূর্ণ অবস্থানের পক্ষে থাকবে আওয়ামী লীগ। কোনো বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। মামলার রায়কে ঘিরে বিএনপি কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সেটি পুলিশ দেখবে। আওয়ামী লীগের কর্মীরা মাঠে থাকবে শান্তি বজায় রাখার জন্য। কিন্তু কোনো অ্যাকশনে যাবে না।’

আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি না দেওয়ার কথা বললেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন কাউন্সিলরদের মাঠে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। গত সোমবার ডিএসসিসির নগর ভবনের ব্যাংক ফ্লোর মিলনায়তনে এক মতিবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘৮ ফেব্রুয়ারি আমাদের প্রত্যেক কাউন্সিলরের নেতৃত্বে প্রত্যেক এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। তবে কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।’ মেয়র সাঈদ খোকন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য।

এদিকে আওয়ামী লীগের ব্যানারে না হলেও ঢাকায় যাতে কোনো ‘অরাজকতা’ না হয়, সে জন্য ২০ হাজার পরিবহন মালিক-শ্রমিক ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, সায়েদাবাদ, মহাখালী টার্মিনালে অবস্থান নেবেন। গতকাল মঙ্গলবার এক যৌথ সভায় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্যাহর সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত হয়।

এ ছাড়া ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নৈরাজ্য ঠেকাতে দলের তৃণমূলকে নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। গত শনিবার থেকে ডাকযোগে সাংগঠনিক জেলা-উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের কাছে এসব নির্দেশনা উল্লেখ করে চিঠি পাঠানো শুরু করে দলটি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর রয়েছে ওই চিঠিতে।

কর্মসূচির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে, এখানে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই। তবে সরকারি দল হিসেবে পুলিশকে সহযোগিতা করবে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া বিএনপির যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কর্মীরা সতর্ক থাকবে।

খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটক, গ্রেপ্তার শুরু করেছে পুলিশ। গতকাল পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপির ১ হাজার ২০০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে করে এমনটাই দাবি করেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন নবী খানকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেছে বিএনপি। তবে কে তুলে নিয়ে গেছে, বিষয়টি জানা না গেলেও এখনো পর্যন্ত হাবিব-উন নবী খানের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

ঢাকা মহানগরে কোনো মিছিল বন্ধ, টার্মিনালে শ্রমিকদের সতর্ক প্রহরা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের মাঠে থাকা, আওয়ামী লীগের কর্মীদের সতর্ক অবস্থান—এসব কারণে আগামীকাল খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকার মাঠ থাকবে আওয়ামী লীগের দখলে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার চলছে। আবার গ্রেপ্তার এড়াতে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। এসব কারণে আগামীকাল বিএনপির নেতা-কর্মীরা কোথাও দাঁড়াতে পারবেন না বলে মনে করা হচ্ছে।

সর্বশেষ - সর্বশেষ সংবাদ