শেখ রাজু – রাজধানী মিরপুরের কালশীতে আবারও সেফটি ট্যাংক বিষ্ফোরণে ২০ অগ্নি দগ্ধ। গতকাল রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুর কালশীতে ভাই ভাই ভিলার ২৪ নং বাসার ই ব্লকে ৪ নং লাইনে মোশারফের বাড়িতে ভয়াবহ সেফটি ট্যাংক বিষ্ফোরনে পথচারী সহ 19 জন গুরুত্বর আহত হয়েছে আহতদের তাৎক্ষনিক ঢাকা মেডিকেল হসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেলের কতব্যরত ডাক্তার বাংলাদেশ একাত্তরকে জানান তাদের অবস্থা খুবই আশংকা জনক। তবে তাদের ভিতর বেশ কিছু মানুষ সুস্থ হলেও ৬ জনের অবস্থা খুবই গুরুত্বর খারাপ। বিষ্ফরোনের ঘটনায় এলাকাবাসী বলেন এর আগেও ঠিক একই বাসার পাশে মাত্র ২ মাস আগেই একই ধরনের ঘটনায় দুজন স্বামী স্ত্রী মারা যায়। এলাকাবাসী বলেন মাত্র ১০০০০ টাকার বিনিময়ে ওয়াসা ও তিতাসের অবৈধ্য সংযোগ দিয়েই এই মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। সাথে সাথে বাড়ির মালিকরা মাস শেষে বাড়ি ভাড়া ঠিক মতো নিলেও সেফটি ট্যাংক পরিষ্কারের কোন খেয়ালই থাকেনা তাদের। নাম প্রকাশে অনিছুক এক এলাকাবাসী বলেন অবৈধ্য সংযোগের জন্য অনেক সময় খোদ পুলিশ সদস্যরাই দাড়িয়ে থেকে সহযোগিতা করে। সেফটি ট্যাংক বিষ্ফরনে আহতদের এক আতœীয় বলেন এখন আমার ভাই মারা গেলে লাশের দাম হবে মাত্র ২০০০০ টাকা। অথচ এই লোভী বাড়িওয়ালারা একবারও ভাবেন না তাদের মতোই আমরাও বাচতে চাই। আহতরা হলেন- বাড়ির মালিক মোশারফ হোসেন (৪৫), তার ছেলে জিসান (১৮), ভাড়াটিয়া আওয়াল হোসেন বাবু (৩২), ভাড়াটিয়া সুরত আলী (৬০), সুরতের স্ত্রী বেদানা বেগম (৪০), তাদের মেয়ে আলেয়া (২৫),আলেয়ার মেয়ে মিলি (সাড়ে ৪ বছর), সুরতের ছেলে রাব্বি (২০) এবং তার স্ত্রী লাবনী (১৮)।বাকি আহত ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি
যে কারণে হয় সেফটি ট্যাংক বিষ্ফোরন ঃ
সেফটি ট্যাংক নিয়মিত পরিষ্কার না করা।
মিথেন গ্যাস জমে যাওয়া।
সেফটি ট্যাংকের ভিতর দিয়ে গ্যাসের লাইনের পাইপ টানা।
রাস্তার কাজের সময় পানির সংযোগ ও গ্যাসের সংযোগ একসাথে নেওয়া।
বাড়িওয়ালাদের উদাসীনতা।