বৃহস্পতিবার , ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ সংবাদ
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

যানজটে নাকাল মিরপুর বাসী

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯ ৭:০৪ অপরাহ্ণ

এম  এ বিপ্লব ঃ  মিরপুরের য্নজটে অতিষ্ট সাধারন জনগণ। মিরপুরের যানজটের প্রধান কারন হিসেবে ৮ কারণ চিহ্নিত করেছে স্থানীয় জনগণ ও প্রসাশন। যততত্র রাস্তায় গাড়ি পার্কিং, নিষিদ্ধ অটো রিক্সার প্রধান সড়কে চলাচল, ফিটনেস বিহীন গাড়িই বেশিরভাগ, লক্কর ঝক্কর লেগুনার রাস্তায় চলাচল, পুরো সড়ক জুড়ে গড়ে ওঠা ফুটপাথ, যততত্র যাত্রী ওঠা নামা, মোড়ে মোড়েই  ওয়েবিল ও কাউন্টার,  সড়কের পাশে গড়ে ওঠা স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন মার্কেট।

 

মিরপুর ১২ থেকে ১০ নাম্বার গোল চত্তরে যেতে লাগে ২ ঘন্টা আর ১০ নাম্বার থেকে গুলিস্থান যেতে লাগে ১ ঘন্ট।মিরপুর ১২ থেকে ১০ নাম্বার মাত্র দেড় কিলো পথ যেতে এতো সময় লাগার মূল কারন যানজট। শুধু মাত্র মিরপুরেই মিরপুর ১২ থেকে মিরপুর ১০ নং পর্যন্ত এবং ১২ নং মোড় হইতে কালশী মোড় পর্যন্ত রাস্তার দু ধারেই রাখা হয় গাড়ি পার্কিং করে।থাকে নাম না জানা কয়েকশো কোম্পানির গাড়ি। গাড়ি পার্কিং করে রাখার ফলে ৬০ ফিটের রাস্তা পরিণত হয় মাত্র ২০ ফিটে আর এতেই তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। আর এই গাড়ি পার্কিং ব্যবসাকে পুজি করে ধান্দাবাজিতে নেমেছে আব্দুল আওয়ালের মতো বিভিন্ন নাম সর্বস্বহীন নেতা কর্মীরা।

আর ব্যবসাটাও মন্দ নয়। গাড়ি পার্কিং করে রাখার জন্য প্রতি গাড়িকে দিতে হয় দৈনিক ১০০ টাকা করে।সরজমিনে দেখা যায় মিরপুর ১০ হতে কালশী মোড় পযন্ত রাখা হয় প্রায় ১৫০০ গাড়ি যা তেকে প্রতিদিন এই ভুই ফোড় নেতার আয় করছে প্রায় ১৫০০০০ টাকা। শুধু যে নেতারাই খায় তা কিন্তু মোটেই নয় এর ভাগ দিতে হয় থানা সহ উপর মহলের অনেক নেতাকেই।এই পার্কিং ব্যবসা করে মিরপুরের অনেক ভুয়া কর্মীরই কপাল খুলেছে হয়েছে বাড়ি গাড়ির মালিক। মহামান্য হাইকোটের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করেই নিষিদ্ধ ঘোষিত অটো রিক্সা চলাচলের লাইসেন্স প্রদান করছেন মিরপুর এলাকার ক্ষমতাসীন দলের নেতা কমীরা।প্রতিটি অটো রিক্সা থেকে প্রধান সড়কে চলাচলের জন্য দিতে হচ্ছে ১২০০-১৫০০ টাকা।আর অটো রিক্সা চালকরাও টাকা দিয়ে কার্ড নিয়ে হয়ে উঠেন বেপরোয়া।প্রধান সড়কে যেন তাদেরই দাপট চলে। এই অটো রিক্সার কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দূঘটনা।

প্রধান সড়কে অটো রিক্সা চলাচলের কারনে মিরপুরের প্রতিটি রাস্তায় সষ্টি হচ্ছে দীঘ যানজট। লক্কর ঝক্কর ফিটনেস বিহীন গাড়ি গুলি রাম্তায় চলাচল করছে অবাধে। গাড়ির ফিটনেস না থাকায় এবং লক্কর ঝক্কর হওয়ার কারনে অনেক সময় বিকল হয়ে পড়ে থাকে রাস্তার মাঝখানে যার দারুন তৈরি হয় দীঘ যানজট। অবশ্য ট্রাফিক পুলিশ এ বিষয়ে বেশ খানিকটা উদাসীন হওয়ায় এসব বাস মালিকরা থোরাই কেয়ার করে চালাচ্ছে এসব গাড়ি। তবে ট্রাফিক বিভাগ প্রতি মাসের ১ থেকে ১০ তারিখে সচেতন হয়ে যা্য়।চলে ফিটনেস বিহীন গাড়ি ধরপাকড়।বাস মালিকরা মাসোহারা দিয়ে ট্রাফিক পুলিশে চোখে কাঠের চশমা না পরানো পযন্ত চলে এই ধর পাকড়। ট্রাফিক পুলিশের চোখে কাঠের চশমা পরিয়ে দিয়ে আবার মনের সুখে একটি মাস নিবিঘ্নে গাড়ি রাস্তায় চালান বাস মালিকরা। মিরপুর এলাকায় দেদারছে বেড়েই চলেছে লেগুনা। সরজমিনে দেখা যায় মিরপুর পূরবী থেকে কালশী রোডে, ১২ নাম্বারে, মিরপুর সাড়ে এগারো ও এগারো, দুয়ারী পাড়া, মিরপুর ১ নাম্বারে, মিরপুর ১০ নাম্বারে সহ পুরো এলাকা জুড়েই এই লেগুনার বিচরন রয়েছে।প্রধান সড়েক জুড়ে চলাচল করা এই লেগুনার কারনে হচ্ছে যানজট।

লেগুনা গুলির প্রতিটিরই নেই কোন কাগজপত্র বা রুট পারমিট।শুধু মাত্র ট্রাফিক বিভাগকে ম্যানেজ করেই অবাধে চলাচল করছে এই লেগুনা। আর মিরপুর এলাকার যানজটের অন্যতম কারন হিসেবে এই লেগুনাকেই দায়ী করছে স্থানীয় জনসাধারন। গোটা মিরপুরের প্রধান সড়ক সহ সব রাস্তার ফুটপাথ দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে মিনি মার্কেট।

সাধারন জনগণ ফুটপাথে চলাচল না করতে পেরে রাস্তার উপর দিয়ে চলাচলে বাধ্য হচ্ছে আর এ কারনে সঠিকভাবে চলতে পারছে না পরিবহন গুলো আর তাতেই হচ্ছে যানজট।মাঝে মাঝে ট্রাফিক পুলিশ বা থানা পুলিশ ফুটপাথ উচ্ছেদ করলেও ফুটপাথ নিয়ন্ত্রনকারীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আবার পূবের অবস্থায় ফিরিয়ে আনে। যার কারনে বন্ধ হয় না যানজট।

এর সাথে যুক্ত হয় যেখানে সেখানে বাস দাড় করিয়ে যাত্রী উঠা নামা।যততত্র গাড় দাড় করিয়ে যাত্রী উঠা নামা কারনেই সষ্টি হয় যানজট। রাস্তার যানজটের আরেকটি কারন হিসেবে দাড়িয়েছে মিরপুরের প্রতি বাস স্টপেজের অবিল ও কাউন্টার।কিছু দুর পরপরই রয়েছে এই অবিল ও কাউন্টার সেখানে আড়াআড়ি ভাবে দাড় করিয়ে রাখা হয় গাড়ি যার কারনে পিছনে থাকা অন্য গাড়ি গুলো যেতে পারে না আর তাতেই বাধে যানজট।মিরপুরের সব প্রধান সড়কে পাশেই রয়েছে বিভিন্ন মাকেট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এসকল প্রতিষ্ঠানের নিজেস্ব পার্কিং না থাকায় রাস্তার পাশে খেয়াল খুশি মতো রেখে দেয় গাড়ি ফলে রাস্তায় চলাচলকারী সকল পরিবহনের যাতায়তের বিঘ্ন ঘটে বাধে যানজট। মিরপুরবাসি বলেন অচিরেই এসব বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহন না করলে আরো ভয়ানক রুপ ধারন করবে এই যানজটের মাত্রা। ট্রাফিক আইন কানুন মেনে গাড়ী চালালে যানজটের বেহাল দশা থেকে মুক্তি পেতে পারে সাধারণ নাগরিক। এজন্য সচেতন হতে হবে দেশের ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ ও দেশের প্রতিটি নাগরিক, গাড়ীর চালক এবং গাড়ীর মালিকদের।

সর্বশেষ - রাজনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত

সাংবাদিক সংগঠনের ঐক্যজোট এ্যাবজার আত্মপ্রকাশ, বাবু আহবায়ক, জাফর সদস্য সচিব

শর্তভঙ্গে মেডলার ফ্যাশনকে ৮৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা জরিমানা: রাজউক কর্তৃপক্ষ

রূপনগরে জমি দখলে মোস্তাকের নতুন প্রতারণা

পল্লবী থানার ওসিসহ ১৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ

চাঁদা দে না হয় কোপ খাবি; কিশোর গ্যাং বাহিনী

গভির রাতে লাশ নিয়ে পালানোর সময় পুলিশের হাতে আটক

আওয়ামীলীগের ২৯৮ জন মনোনয়ন পেয়েছেন যারা

সন্তানের হাতে বাবা খুন, ২৪ ঘন্টা না যেতেই র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার 

জামিনে থাকা অবস্থায় সম্পাদক প্রান্ত পারভেজ আটক: নিন্দা ও প্রতিবাদ মিরপুর প্রেসক্লাবের

তানোর খাদ্যগুদামে নানা অনিয়মের অভিযোগ