সাদ্দাম হোসেন মুন্না–মিরপুর হানাদার মুক্ত দিবসউৎযাপন ৩১শে জানুয়ারি প্রতিবারের মত এবারও ৩১শে জানুয়ারি মিরপুর হানাদার মুক্ত দিবস উৎযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিানের আয়োজন করেন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আমির হোসেন মোল্লা। স্থান: ১০ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টার দারুস সালাম থানা রোড, মিরপুর ঢাকা। উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্তিত থাকার কথা ছিলো বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব, আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল (এমপি) মাননীয় মন্ত্রী(স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়) গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। তিনি বিশেষ কোন জরুরী কাজ থাকায় উপস্তিত হতে পারেননি এ অনুষ্ঠানে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ,বি তাজুল ইসলাম(এমপি) সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। জনাব আসলামুল হক(এমপি) ঢাকা ১৪ আসন,সহ সভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগ ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেঃ (অবঃ) হেলাল মোর্শেদ খাঁন, বীর বিক্রম, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খাঁন মিন্টু, সভাপতি শাহআলী থানা,আওয়ামীলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর।অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আমির হোসেন মোল্লা কমান্ডার, ঢাকা মহানগর ইউনিট কমান্ড,বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। জনাব আলহাজ্ব আমিরহোসেন মোল্লা বলেন, দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করার পর পাকিস্তানি বাহিনী ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণ করলেও মিরপুর শত্রু মুক্ত হয় ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি। তাই ৩১ জানুয়ারি ‘মিরপুর হানাদার মুক্ত দিবস’ পালন করে মিরপুর বাসী এবং প্রতিবারের মত এবারও পালন করতে সহ্মম হয়েছে। ৩১শে জানুয়ারি মিরপুর হানাদার মুক্ত দিবস। সে সবে উঠে আসে ১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে মিরপুরের মুক্তিযুদ্ধের শোক আর গৌরবের নানা স্মৃতি এবং মিরপুর হানাদার মুক্ত দিবস রাষ্টীয় ভাবে সন্মানা চান মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা৩০শে জানুয়ারি সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের যৌথ অভিযানে পরাজয় বরণ করে আত্মগোপনকারী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও অবাঙালি ঘাতকেরা। পরিশেষে ৩১ জানুয়ারি মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ডি ব্লকের মাঠে (বর্তমান ঈদগাহ মাঠ) আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, বক্তব্যে আরোও বলেন, বিএনপি কে, ইঙ্গিত করে বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা অস্র জমা দিলেও ট্রেনিং জমা দেইনি প্রয়োজনে আমরা আবার যুদ্ধ করবো যদি আপনি দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে না দেন। বিএনপি জামাত জোট বোমা হামলা করে দেশের হাজার হাজার জনগনকে হত্যা করেছে তাই এদেশের জনগন বিএনপি জামাত কে চায়না। আসলামুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা এই বাংলাদেশ পেতাম না, বাংলাদেশ না হলে আমরা আজ হানাদার মুক্ত দিবস পালন করতে পারতাম না। স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না ।আরও বলেন-সেই ১৯৭১ সাল থেকেই আমরা যুদ্ধ করে আসছি, আওয়ামীলীগ সরকার যখন হ্মমতায় আসে তখন দেশের উন্নয়ন মুলক কাজ চার গুন বেড়ে যায়। দেশে উন্নয়ন মুলক কাজ হোক বেগম খালেদা জিয়া সেটা চায় না! চায় শুধু দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে রাখতে। তারেক রহমান কি পাশ? কতটুকু লেখা পড়া করেছে ? লন্ডনের মাটিতে কোটি কোটি টাকা গুনছে। আরোও বলেন রাজাকারের পহ্মে সব সময় ছাফাই করে বেগম জিয়া। সেই কারনেই দেশর মানুষ বিএনপি জামাত কে ছুরে ফেলে দিয়েছে চিরতরে । আসলামুল হক আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকায় ভোট চান এদেশের সকল শ্রেনীর মানুষের কাছে।আগা খাঁন মিন্টু বলেন, শান্তির দেশ বাংলাদেশ এই শান্তিময় দেশকে রহ্মা করার জন্য আমরা মুক্তিযৌদ্ধারা যুদ্ধ করেছিলাম,জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা মুক্তিযোদ্ধা জীবন বাজী রেখে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে পাকিস্তানি হানাদারদের বিতারিত করেছি। এই মিরপুরে এত রাজাকার ছিলো যার জন্য দেড় মাস বেশি সময় লেগেছিলো মিরপুর হানাদার মুক্ত করতে। তিনি সর্ব পুরী নৌকায় ভোট চান,তিনি বলেন আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিন। পরে একে একে সংহ্মিপ্ত বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা। অনুষ্ঠানে দূপুরে আপ্যায়নের আয়োজন করেন অনুষ্ঠান পরিচালনাকারী জনাব, আলহাজ্ব আমির হোসেন মোল্লা। সার্বিক সহ যোগিতায় ছিলেন, মোঃ মনির হোসেন মোল্লা ,এবং মোঃ শীশীর আহমেদ কাতল,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক, আরও অনেকে।উক্ত উনুষ্ঠানটি সকাল ১০ঘটিকায় শুরু ও বিকাল ৩ঘটিকায় সমপ্ত করা হয়