মিরপুরে পাতা সোহেল গ্রুপের হামলায় আহত-৫
(বাংলাদেশ একাত্তর. কম) সোহেল রানা। পর্ব-১
( ২৬ মঙ্গলবার ) ঈদের দ্বিতীয় দিনেই রাজধানীর মিরপুর ১১ বাউনিয়াবাধ এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ পাতা সোহেল গ্রুপের হামলায় স্বপন, চঞ্চল, রবিউল, হাবিব সুমন গুরুতর রক্তাক্ত আহত হয়েছে। আহতের ৫জনের মধ্যে দুইজনের অবস্থা বেগতিক। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এলাকাবাসি রুবেল (বাংলাদেশ একাত্তর.কম) কে বলেন, এক যুবলীগ নেতার দুই ভাতিজা ও পাতা সোহেল এলাকায় আড্ডাবাজি করে এরা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত চাচার ক্ষমতার দাপটে থানা পুলিশ ওদের হাতের মুঠোয় থাকে। তাই তাদের ভয়ে এলাকার কেউ-ই প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। পাতা সোহেলের বাবা ইদ্রিস আলী একজন চিহৃিত হিরোইন ব্যবসায়ী।
৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খলিলুর রহমান (বাংলাদেশ একাত্তর.কম) কে বলেন, রাজিব একজন মাদক ব্যবসায়ী। যারা কোপাইছে তারা এলাকায় ইয়াংগ্যাং তৈরি করেছে শান্ত, মুন্না ও পাতা সোহেলসহ অনেকেই। তারা এলাকায় শক্তি প্রয়োগ করে চলে। এই পর্যন্ত এরা ৭/৮ জনকে কোপালো। যে ছুরি চাক্কু দিয়ে কোপাইছে সেই ছুরি-চাক্কু সেই গুলো এক বস্তি ঘরে রাখছিলো। তিনি আরো বলেন, আগের গুলোয় মামলা হয়নি ফোন টোন করে ঠেকাইছে-চাচা এমপির রাজনীতি করে। সেই কারনেই এদের সাহস আরো বেড়েগেছ।
বাউনিয়াবাধ এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, পাতা সোহেলের সাথে কথা কাটাকাটি হয় রাজিবের পরে স্বপনসহ অন্যরা এগিয়ে আসলে পাতা সোহেল তার লোকজন দেশীয় অস্রসস্র নিয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্বপন সহ তাদের উপর হামলা চালায়। এতে পাচজন আহত হন। প্রতিবেশী রুবেল জানান থানায় এখনো অভিযোগ করা হয়নি হাসপাতালের রিপোর্ট নিয়ে তারপর থানায় অভিযোগ দিবো।
স্থানীদের বরাদ দিয়ে জানা যায়, এমন ঘটনা এই এলাকায় নতুন নয় এর আগেও হয়েছে সন্ধ্যা হলেই মাদকের হাট-বাজার বসে। এই এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে মাদকের ছড়াছড়ি। মহিলারাও জড়িত। এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাউনিয়াবাধ এলাকায় নিম্ম আয়ের ঘনবসতি বেশি হওয়ায় প্রায়ই দিন ঝগড়াঝাটি সহ ছোট বড় অঘটনের ঘটনা ঘটেই।
এলাকায় রয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের একাধিক গ্রুপ। তারা দল বেধে চলে স্থানীয় নেতাদের দাপটে। ফলে সব সময় একটা উত্তেজনা বিরাজ করেই এই বাউনিয়াবাধে। চলে দলাদলি।
এলাকায় মাদকের পাশাপাশি জমি দখল, সরকারি বিদ্যুৎ চোরাই পথে লাইন নিয়ে ব্যবসা, অটোরিকশা চার্জ দেওয়া। কেউ খাস জমি দখল করেই বস্তি ঘর তুলে ভাড়া ও তিন তলা ভবন তৈরি করে সেখানে জুয়া সহ চলে অনৈতিক কার্যকলাপ প্রশাসনের নজর এড়াতে ভবনে লাগানো হয় সিসিটিভি ক্যামেরা, ভবন মালিক স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতা যিনি গত বছরে রাস্ট্রীয় সম্পদ “বিদ্যুৎ” চুরির মামলায় জেল ও খেটেছেন।
বাউনিয়াবাধ এলাকার সাধারণ দিনমুজর, গার্মেন্টস শ্রমিক, ব্যবসায়ী কর্মজীবি মানুষ থাকেন চরম আতংকে।
এলাকাবাসীর দাবী- আইনের মাধ্যমে বাউনিয়াবাধ এলাকা থেকে চিরতরে মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মুল করতে হবে। অবৈধ ভাবে যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ গ্যাস, বিদ্যুৎ পানি চোরাই পথে নিয়ে কোটি কোটি টাকা রাষ্ট্রের ফাকি দিয়ে নিজে বিত্তবান হচ্ছেন। পুলিশের সজাগ দৃষ্টি রেখে এসব অপরাধীদের শাস্তি দিলেই বাউনিয়াবাধ এলাকা শান্তির এলাকা হবে।