সুমন বিশ্বাস– মিরপুর প্রতিনিধি: রাজধানীর মিরপুর-১,শাহ্ আলী মাজার হয়ে মিরপুর নিউমার্কেট পর্যন্ত মূল সড়ক ও ফুটপাতের সকল অবৈধ ভ্রাম্মান দোকানপাট যানজট নিরসনে সিটি কর্পোরেশনের উদ্দোগ্যে অভিযান চালানো হয়।
সরজমিনে দেখা যায় যে বৃহস্পতিবার (২০শে সেপ্টেম্বর ২০১৮ইং) তারিখে দুপুরবেলা থেকে সিটি কর্পোরেশনের ডাঙ্গাবাহি গাড়ী দিয়ে মিরপুর-১,শাহ্ আলী মাজার হয়ে মিরপুর নিউমার্কেট পর্যন্ত দূ’পাশের মূল সড়ক ও ফুটপাতের প্রায় চার হাজার অবৈধ দোকানপাট ভেংঙ্গে চুরে লন্ডভন্ড করে ডাঙ্গাবাহী গাড়ী। এ অভিযানে মিরপুরের সুন্দর্য্য ফিরে এসে ও ডিজিটাল মিরপুর জনমনে নামকরণ ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। দীর্ঘ দিন যাবৎ ফুটপাত ও মুল সড়কের ৩০ফুট অবৈধ ভাবে দোকান বসিয়ে প্রতি দোকান থেকে দৈনিক-১৫০টাকা চাঁদা নেয়া হত বলেও জানা যায়। প্রতিদিন প্রায় ৪হাজার দোকান ফুটপাত ও মুল সড়ক জুড়ে দখল করে চাঁদা উত্তোলন করতো একশ্রেণীর প্রভাবশালী চক্র। রাজস্ব কর ফাকি দিয়ে সরাসরি বিদ্যুৎের পিলার থেকে লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতো ফুটপাত জুড়ে।
সিটি করপোরেশনের এই মহৎ উদ্দ্যোগে স্বাগত জানিয়েছে হাজার হাজার জনগন।এক পথচারি রিনা বলেন, এই ফুটপাত দিয়ে কখনো হাটা চলা করতে পারবো নিরাপদ ভাবে ভাবিনি,সব সময় যানজট লেগেই থাকত, চুরি ছিনতাইয়ের ভয় ছিলো। আরেক পথচারি সুমন বলেন, এই সরকারের আমলে নুতন এক মিরপুর দেখছি যা বিগত ৯ বছর আগে ছিলোনা। এবিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তাফা বলেন, জনভদুর্ভোগ দূর্ঘটনার প্রধান কারণ মিরপুরসহ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ক্লিন থাকবে। সিটি কর্পোরেশনের নিজেস্ব ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান করা হয়। তবে এ অভিযানের পর এই সুন্দর্য্যের মেয়াদ কত দিন থাকবে এ বিষয় নিয়ে জনমতে নানা ঘোষা চলছে। নাম না বলার শর্তে, এক ফুটপাতের জুতা দোকানদার বলেন, আমরা দৈনিক-১৫০ টাকা দিয়ে দোকান করি, সরকার যদি আমাদের একটা মার্কেট তৈরি করে দিত তাহলে পরিবার নিয়ে ডাল ভাত খেয়ে বাঁচতে পারতাম।