বুধবার , ২৭ মার্চ ২০১৯ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ সংবাদ
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

মানবপাচারকারী আটক ২, রোহিঙ্গা নারী উদ্ধার ৪

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
মার্চ ২৭, ২০১৯ ৮:০৭ অপরাহ্ণ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর খিলগাঁও ও কেরানীগঞ্জ থেকে দুই মানবপাচারকারীক আব্দুল হামিদ (৩০) ও রিয়াদ হোসেন (৩৪) কে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় উদ্ধার হওয়া চার নারী হলেন, হাসিনা বেগম(২৫), রুমা আক্তার (১৮), বুশরা আক্তার (১৯) ও ছাবেকুন্নাহার (১৮)।

বুধবার বিকালে (২৭ মার্চ) কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ভুয়া পাসপোর্ট ও জন্ম নিবন্ধন সনদ বানিয়ে ওই রোহিঙ্গা নারীদের সৌদি আরবে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল। তাদের বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইনের মন্ডু ও ভুচি দং এলাকায়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের আস্তানা থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত চার রোহিঙ্গা নারীকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। ছাড়া বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, ভুয়া জন্ম নিবন্ধনের কপি ও কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে।

র‌্যাবকে জানায়, সে ১০ বছর যাবৎ ঢাকায় অবস্থান করছে। সে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সীতে চট্টগ্রাম এলাকা থেকে মানবপাচারের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। উখিয়া ক্যাম্পের মোমিনুল হাকিম (৩৫) এবং জাহিদ (৩৭) নামীয় দুই দালাল চলতি মাসের প্রথম দিকে ওই চার নারীকে সৌদি আরবে পাচারের উদ্দেশ্যে তার খিলগাঁও এলাকার ভাড়া বাসায় রেখে যায়। পরে আব্দুল হামিদ ট্রাভেল এজেন্সীর সঙ্গে যোগাযোগ করে দালাল রিয়াদ হোসেনের মাধ্যমে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করে ওই নারীদের পাসপোর্টের আবেদন কেরানীগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়। কিন্তু কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই সে র‌্যাবের অভিযানে আটক হয়। আব্দুল হামিদ আরো জানায় যে, সৌদি আরবে নারী পাচার করতে কোন টাকা পয়সা খরচ করতে হয় না। এ কারণেই খুব সহজেই অসহায় নারী এবং তাদের অভিভাবকদের সৌদি আরবে পাচারের উদ্দেশ্যে প্রলুব্ধ করা যায়। এছাড়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নারীদের পাচারের সুবিধা হচ্ছে, পাচারকৃত নারীরা সৌদি আরবে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হলেও পাচারকারী চক্রের সদস্যদের কোন জবাবদিহি করতে হয় না। প্রতিটি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিক (নারী) পাচারের জন্য সে ১৫ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকে। এছাড়াও তার ভাড়া বাসায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের থাকা খাওয়ার খরচ বাবদ সে নিয়মিত টাকা পেয়ে থাকে।

র‌্যাব অধিনায়ক জানান, আব্দুল হামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পাসপোর্টের দালাল রিয়াদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তার হেফাজত হতে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, ভুয়া জন্ম নিবন্ধনের কপি, পাসপোর্টের ফরম ও একটি কম্পিউটার জব্দ করা হয়। দালাল রিয়াদ হোসেন জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, কেরানীগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের পাশে তার একটি ফটোকপি মেশিনের দোকান রয়েছে। কেরানীগঞ্জ এলাকায় পাসপোর্ট অফিস প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই সে জন্ম নিবন্ধন এবং এনআইডির কপি এডিট করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে পাসপোর্ট তৈরি করতে সহায়তা করে আসছে। প্রতিটি ভুয়া জন্ম নিবন্ধনের কপি থেকে সে ১৫০ টাকা পেয়ে থাকে। এছাড়াও সে একজন ডাক্তারের নামে সত্যায়িত সীল তৈরি করে পাসপোর্টের আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়িত করে থাকে। এমনকি পাসপোর্ট ফরমের প্রত্যয়ন কলামে ডাক্তারের ভুয়া সীল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে।

সর্বশেষ - রাজনীতি