বৃহস্পতিবার , ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ সংবাদ
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

ভুমি মন্ত্রণালয়ে চাকরি নেই তবুও পদোন্নতি!

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯ ২:০৯ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন ডেক্সঃ ভূমি মন্ত্রণালয়ে কানুনগো পদে পদোন্নতি নিয়ে লেছক্কা সব তুমল কাণ্ড ঘটেছে। দীর্ঘদিন পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি ৫৪৮ জনকে এই পদে পদোন্নতি দেয়া হলেও যার চাকরি নেই তিনিও পদোন্নতি পেয়েছেন।

দুর্নীতির দায়ে যাকে বাধ্যমূলক অবসর দেয়া হয়েছে, এমন কর্মকর্তার নামও রয়েছে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপনে। এমন পদোন্নতির তালিকা দেখে ভূমি প্রশাসনের সবাই বিস্মিত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, ১১ ডিসেম্বর অনেকটা ঢাকঢোল পিটিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় কানুনগো পদে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করে। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী নানা জটিলতায় আটকে থাকা পদোন্নতির বিষয়টি খোলাসা করেন। ওই সভায় পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারির পর লটারির মাধ্যমে পোস্টিংও দেয়া হয়।

২০০৪ সাল থেকে পদটিতে পদোন্নতি স্থগিত ছিল। সূত্র জানায়, পদোন্নতির প্রজ্ঞাপনে এ ধরনের ভুল-ত্রুটি তুলে ধরে প্রতিকার চেয়ে বুধবার ভূমি সচিবের কাছে বেশ কয়েকজন সার্ভেয়ার আবেদন করেন। প্রাপ্ত একটি আবেদনে দেখা যায়, পদোন্নতি তালিকার ৪৭০নং সিরিয়ালে শফিকুল ইসলাম নামে যাকে কানুনগো পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে তাকে দুর্নীতির দায়ে বিভাগীয় মামলায় অনেক আগেই চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে।

এছাড়া প্রজ্ঞাপনের ১৮৩নং সিরিয়ালে থাকা শাহাদাৎ হোসেনকে বিভাগীয় মামলায় এক ধাপ নিচের বেতন গ্রেডে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনিও পদোন্নতি পেয়েছেন। শাহাদাৎ হোসেন ড্রাফটম্যান কাম এরিয়া এস্টিমেটর কাম কিপার হিসেবে সর্বশেষ কর্মরত ছিলেন যশোরের অভয়নগর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বিভাগীয় মামলার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভূমি সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী ৩০সে সেপ্টেম্বর বেতন অবনমিতকরণ আদেশ দেন। অথচ তিনি সচিব থাকাবস্থায় আড়াই মাসের মাথায় তাকে কানুনগো পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। সাধারণত এ ধরনের দণ্ডভোগের ২ বছরের আগে কারও পদোন্নতি হওয়ার কথা নয়।

অপরদিকে শফিকুল ইসলাম কম্পিউটর পদে সর্বশেষ কর্মরত ছিলেন খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের অধীনে সাতক্ষীরার তালা উপজেলায়। গুরুতর অভিযোগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর তাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক মতিন-উল-হক।

এদিকে কেন এভাবে পদোন্নতি দেয়া হল জানতে চাইলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, এত বড় পদোন্নতি নিয়ে মন্ত্রণালয়কে বেশ হিমশিম খেতে হয়। তাছাড়া উচ্চ আদালতের কিছু বাধ্যবাধকতাও ছিল। তবে জেলা থেকে পাঠানো ভুল তথ্যের কারণে প্রজ্ঞাপনে এ ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে।

তারা বিষয়টি ইতিমধ্যে অবগত হয়েছেন। শিগগির সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

সুত্রঃ যুগান্তর-১৯ ডিসেম্বর ২০১৯।

সর্বশেষ - রাজনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত