আদালত প্রতিনিধি: বেগম জিয়াকে কুমিল্লায় হত্যা ও নাশকতার দুই মামলায় ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। নড়াইলের মানহানির মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার জামিন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন আদালত। আদালত বলেছেন, নড়াইলের মামলাটি জামিনযোগ্য হলেও আগে বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করতে হবে। এ আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।কুমিল্লায় বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে আটজনকে হত্যার হুকুমের আসামি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। একই অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে আরো দুটি মামলা হয় বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে।
এসব মামলায় বেগম জিয়াকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন আদালত। এরপরই জামিন চেয়ে বিচারিক আদালতে আবেদ করেন বেগম জিয়া। যে আবেদনটি বিচারাধীন।বিচারিক আদালতে জামিনের বিষয়টি নিষ্পত্তি না করে উচ্চ আদালতে জামিন চাওয়া যায় কিনা এ নিয়ে চার কার্যদিবস শুনানি হয়। সোমবার (২৮ মে) কুমিল্লার হত্যা ও নাশকতার পৃথক দুই মামলায় বেগম জিয়াকে ৬ মাসের জামিন দিলেন উচ্চ আদালত। আর নড়াইলের মানহানির মামলার জামিন আবেদনটি খারিজ করে দেন উত্থাপিত হয়নি মর্মে।
আদালতের আদেশের পর বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, হাইকোর্ট কুমিল্লার দুটি মামলায় জামিন দিয়েছেন। নড়াইলের মামলার বিষয়ে আদালত বলেছেন, জজ কোর্টে জামিন আবেদন করতে। জজ কোর্ট জামিন না দিলে তখন আসতে বলেছেন।অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলছেন, তারা এ আদেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করবেন।তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে খালেদা জিয়ার জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন রেডি করেছি। সাবেক দুই মামলায় বেগম জিয়া জামিন পেলেও তার বিরুদ্ধে নাশকতা ও মানহানির আরো চারটি মামলা রয়েছে। সেসব মামলার জামিন আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এসব মামলায় জামিন পেলেই মুক্তি পাবেন বেগম জিয়া এমনটাই মনে করেন আইনজীবীরা।