বিশম্ভরপুর প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ জেলার বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার সহ ০৭ জনের বিরুদ্ধে আমলগ্রহনকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, বিশম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ এ রবিউল আউয়াল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন যার সি.আর মোং নং–১১৮/২০১৮খ্রিঃ। আসামীরা হলেন ১) নুরুল ইসলাম উরফে ইসলাম (৫০), ২) হামিজ উদ্দিন (৪৫), উভয় পিতা মৃত সাদত আলী, ৩) রফিকুল ইসলাম (৪৫), পিতা মকবুল হোসেন, সাং– চিনাকান্দি, ৪) আজিজুল হক (২১), ৫) এমদাদুল হক (২৫), উভয় পিতা নুরুল ইসলাম উরফে ইসলাম, ৬) হাবিবুর রহমান (৩২) পিতা আব্দুল মোতালিব ও ৭) আবু সিদ্দিক (৩৫), পিতা মৃত আমির বক্স, সর্ব সাং– মেরুয়াখলা। মামলায় উল্লেখ্য যে, হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে নাবালক মহিবুরকে জোরপূর্বক ধরে নিতে চাইলে রবিউল আউয়ালের স্ত্রী ফুলবানু তাকে নেওয়ার কারন জিজ্ঞেস করলে হাবিবুর মেম্বার বলেন “আমি চেয়াম্যান সাহেবের নির্দেশে আসছি।” ০২/০৭/২০১৮ইং সন্ধ্যা আনুমানিক ০৬ ঘটিকার সময় রফিকুল ইসলাম ঘটনার ১০/১৫ দিন আগে নুরুল ইসলামের বাড়ীতে চুরির সাথে মহিবুর জড়িত বলে স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা করে। নাবালক মহিবুর ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে জানালে সকল আসামীগণ তাকে চর–তাপ্পর, খিল–ঘুষি, লাথি মেরে ও ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করে। পরে মহিবুর চলে আসতে চাইলে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য আসামীগণ তাকে অবৈধ অবরোধ করে রাখে। দীর্ঘ সময় ধরে তাকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের হুকুমে মহিবুরকে হাবিবুরের বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে মহিবুরকে আবারও ভয়–ভীতি দেখিয়ে মার–পিট করে নুরুল ইসলামের বাড়ীতে চুরির সাথে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার দিকে আসামীগণ মহিবুরকে বিশ^ম্ভরপুর থানায় নিয়ে তাকে নুরুল ইসলামের বাড়ীতে চুরির ঘটনায় জড়িত আসামী হিসেবে গ্রেফতারের দাবী জানায়। থানা কর্তৃপক্ষ মহিবুরকে নাবালক দেখে এবং তার শরীরে মার–পিটের চিহ্ন দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে কথিত চুরির ঘটনায় জড়িত নয় বুঝতে পেরে গ্রেফতার করতে অনীহা প্রকাশ করেন। পরে আসামীগন রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকার দিকে মহিবুরকে তার নিজের বাড়ীতে নিয়ে আসে এবং মহিবুরের বাবা রবিউলের কাছ থেকে জোরপূর্বক ভাবে ১০০ টাকার ৩টি নন–জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে দস্তখত নেন। ঐ ষ্ট্যাম্পের বাম দিকে শুধু ০১ লক্ষ টাকা করে লেখা ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার এর ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। এমনকি লুটে–পুটে কোটি টাকার মালিক হলেন অল্প সময়ে। বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন ভাবে ভয়–ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। যেমন– কেউ যদি কোন অভিযোগ করে, তার প্রেক্ষিতে তাকে নগদ অর্থ না দিলে কোন সঠিক বিচার পাওয়া যায় না। এই মামলার বিষয়ে আসামী এমদাদুল হক জানান “আমাদের উপর যে মামলাটি হয়েছে এটি সম্পূর্ন মিথ্যা। কারন জনসম্মুখে চুরির ঘটনায় মহিবুরের বিচার হয়।”