শনিবার , ১২ জানুয়ারি ২০১৯ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য

ফুটপাত নিয়ে সংঘর্ষ প্রাণ গেলেও চাঁদা চলবেই

প্রতিবেদক
bangladesh ekattor
জানুয়ারি ১২, ২০১৯ ৩:৫৪ পূর্বাহ্ণ

বন্ধ হয়নি ফুটপাতের চাঁদা বানিজ্য যে কারনে প্রান গেল যুবলীগ কর্মী রোমানের হয়নি মামলা। অসহায় রোমানের স্ত্রী ও ৮ বছরের এককন্যা পরিবারের দায়-দায়িত্ব কে নিবে।

বাংলাদেশ একাত্তর.কম [শেখ রাজু]

রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর সংলগ্ন ফুটপাত দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা বেড়েই চলছে। ফুটপাতের চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে প্রায়ই দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় ফুটপাতের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রিত হয়। এতে সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ হতাহত হলেও তা ধামাচাপা পড়ে। আধিপত্য বজায় রাখতে তারা নিজেরাই আপসরফা করে নেয়। প্রশাসনও নীরব ভূমিকা পালন করে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ গত দুই মাসে ফুটপাত দখল নিয়ে সরকার দলীয় লোকজন বেশ কয়েকবার সংঘর্ষে জড়ালেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং দখল পাল্টা দখলে চাঁদার রেট বেড়ে যায়। মিরপুর ১০ নম্বর ফুটপাতের চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সোমবার প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ কর্মী রোমান।

গত সোমবার আলী বাহিনের হাতে খুন হন যুবলীক কর্মী রোমান

তিনি মিরপুর ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সাইফুলের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। সাইফুল পল্লবী থানা যুবলীগের শীর্ষস্থানীয় এক নেতার হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ করেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও মিরপুর ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাইফুলের প্রতিপক্ষ ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে ফুটপাত দখলের দ্বন্দ্বের জেরেই খুন হন রোমান। ঘটনার দিন দুপুরে রোমান ও তার সহযোগী যুবলীগ নেতা সাইফুল, আলামিন, মানিকসহ আরও ২-৩ জন চারটি মোটরসাইকেলে মোহাম্মদ আলীর মিরপুর ৬ নম্বর বি ব্লকের ইন্টারনেট অফিসে দেখা করতে যায়। এ সময় আলী ও তার ২০-২৫ জন সহযোগী তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে।

আলী ছাত্রলীগের রাজনীতির করলেও তার সহযোগীরা মিরপুর ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সঙ্গে জড়িত। হামলায় আহতরা মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে গেলেও রান্না করা খুনতির আঘাতে রোমান ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ নিয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে স্বীকার করেন মিরপুর মডেল থানার ওসি দাদন ফকির। সরেজমিন মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে পশ্চিম দিকে মিরপুর ২ নম্বর স্টেডিয়াম পর্যন্ত দেখা যায়, মূল সড়কের উভয় পাশের ফুটপাতের জায়গা দখল করে রয়েছে তিন শতাধিক দোকান। ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন ফুটপাতের অস্থায়ী চৌকিতে বসানো হয়েছে শীতের পোশাক ও কসমেটিকসের দোকান। পূর্ব ও পশ্চিম পাশের ওভারব্রিজের সিঁড়ি বরাবর দোকান বসিয়ে মানুষের চলাচলকেও বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। গোলচত্বরের উত্তর পাশের গ্যালাক্সি ও ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাতে চার সারিতে কাপড়ের দোকান থাকায় পথচারীদের অনেক গাদাগাদি করে চলতে হয়।এ সুযোগে ওঁৎ পেতে থাকা পকেটমাররা তাদের কাজ সেরে নেয়।

মিরপুর ১০ নম্বর থেকে মিরপুর ২ নম্বর যেতে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। অনেক সময় হাসপাতালে রোগী নিয়ে এলে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকাতে অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। ফুটপাতের কাপড় ব্যবসায়ী সেলিম আখন্দ বলেন, অনেক টাকার বিনিময়ে এখানে ব্যবসা করতে হয়। ফুটপাত দখল নিয়ে মাঝেমধ্যে মারামারি হয়।এমনকি কয়েকবার খুনের ঘটনা ঘটেছে।

এতে ব্যবসায়ীদের কোনো সমস্যা হয় না। কারণ ফুটপাত যার দখলে থাকে তাকেই চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা তোলার দায়িত্বে থাকা এক লাইনম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ফুটপাতের চাঁদাবাজি সরকারদলীয় কয়েকটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করে। মাঝেমধ্যে ঝামেলা হলে তা নিজেরাই মিটিয়ে ফেলে। থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায় না। এখানে মাদক বেচাকেনাও হয় বলে জানান তিনি।

এ সকল দোকানে অবৈধভাবে বিদ্যুৎতের পিলার থেকে সরাসরি ব্যবহার করা হয় রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিদ্যুৎ। ডেসকোর অফিসারদের চোখে টিনের চশমা পড়িয়ে লাইট প্রতি ৫০ টাকা করে প্রায় ৭ হাজার দোকানে ব্যবহার হচ্ছে সেদিকে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অফিসারদের কোন দৃষ্টি নেই।

অবৈধভাবে ব্যবহার করছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ সরকারী বিদ্যুৎ প্রায় ৭হাজার দোকানে
ডেসকোর অফিসারদের চোখে টিনের চশমা পড়িয়ে

ডিএনসিসির ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ন রশীদ জনি বলেন, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের ফুটপাত কয়েকবার দখলমুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমিও চাই ফুটপাত দখলমুক্ত থাকুক। যারা ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ করে তাদের অনেক প্রভাবশালী উল্লেখ করে তিনি নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন।

ওসি দাদন ফকির বলেন, আমি এখানে আসার সাড়ে ৫ মাস হয়েছে। আগের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কিছু জানি না। কিন্তু নতুন করে ফুটপাত নিয়ে যাতে হত্যাকাণ্ড ও সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সবসময় আমাদের নজরদারি থাকবে। তিনি দাবি করেন পুলিশ তৎপর রয়েছে, তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে না।

সর্বশেষ - সর্বশেষ সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত
ডোপ টেস্ট মাদকের নমুনা থাকায় ছয় পুলিশ চাকরিচ্যুত

ডোপ টেস্ট মাদকের নমুনা থাকায় ছয় পুলিশ চাকরিচ্যুত

ঢাকায় পৌঁছে গেছে করোনার টিকা

সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও তথ্যপ্রতিমন্ত্রী স্ত্রীসহ সন্তানের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ

বাঙলা কলেজে সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

এস আই আকবরকে আমাদের প্রয়োজন, সকল ইমিগ্রেশনে চিঠি: বনজ কুমার

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পদ্মায় ডুবল মাইক্রোবাস!

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি হলেন সাজু ও সাধারণ সম্পাদক সায়মন

১০ কোটি টাকার মেয়াদ উত্তীর্ন প্রসাধনী: চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার

পল্লবী থানার ওসিসহ ১৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ

আশুলিয়ায় ভুয়া টিভি ও পত্রিকার সাংবাদিক নিয়োগ বানিজ্যে: আটক-৮