সোহেল রানাঃ রাজধানীতে ছিনতাইকারীদের ওৎপাত প্রতিনিয়ত বেড়েই যাচ্ছে। পল্লবী থানার নাকের ডগায় হচ্ছে ছিনতাই, ছিনতাইকারীরা ধরাছোয়ার বাইরে এসব ছিনতাইকারীদের নাগাল খুজে পাচ্ছে না প্রশাসনের লোকজন।
রাজধানীর লালবাগ থেকে আগত পল্লবীথানাধীন এলাকায় অনলাইনে জিনিসপত্র ডেলিভারি দিতে আসলে রুবেল (৩০) নামের এক ব্যক্তির নিকট থেকে উৎপেতে থাকা একদল ছিনতাইকারী চক্র তাকে আচমকা পিছন দিক থেকে আঘাত করে। পরে অজ্ঞান হলে তার প্যান্টের পকেট থেকে ২৬শ টাকা ও একটি এন্ড্রোয়েট মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।শনিবার ২৮/১২/২০১৯ইং সময় আনুমানিকঃ সাড়ে তিনটার দিকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, হারুন মোল্লা ঈদগা মাঠ (পল্লবী থানার প্রায় ২০০গজ দুরত্বে) সেখানে টাউন সার্ভিস বাসের কাউন্টার ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ময়লার ডাস্টবিন সেখানেই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এই স্থানেই প্রায়ই সময় ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটে বলেও আশপাশের লোকজন বাংলাদেশ একাত্তর.কম কে জানান।
ভুক্তভোগী রুবেল বলেন, লালবাগ থেকে আমি একটি অনলাইনের মাধ্যমে জিনিসপত্র ডেলিভারি দিতে পল্লবী এসেছি, মাল ডেলিভারি দিয়ে আমি এই মাঠের কোনায় বাসে উঠার উদ্দেশ্যে আসলে তিন-চারজন আমার পিছন থেকে আচমকা আঘাত করে, আমার গলা চেপে ধরে ও তলপেটে কিল ঘুষি মারতে থাকে আমি চিপাগলির ভিতরে পড়ে গেলে আমার টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায়। আমি পল্লবী থানায় এসে জানালে একজন স্যার বলে তুমি ঘটনাস্থলে যাও আমরা ফোর্স পাঠিয়ে দিচ্ছি কিন্তু ১/২ ঘন্টা পার হলেও কোনো পুলিশ আসেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা এডভোকেট ইমরুল কায়েস বলেন, এখানে প্রায় সময়ে ছিনতাই হয় ক’দিন আগেও আমার এক আত্মীয় টাকা ও মোবাইল ছিনতাই হয়েছিলো পল্লবী থানা পুলিশকে বলেও কোনো লাভ হয়নি। সন্ধ্যা হলেই পুলিশের সোর্সরা সেখানে জটলা বেধে থাকে মাদক সেবন করে আর অপরিচিত কাউকে পেলেই তারা মারধর করে প্রকাশ্য ছিনতাই করে।এবিষয়ে পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার এস আই রাজিব কুমার বলেন, ছিনতাইকারীকে কি ভাবে ধরবো একটা জিডি করে যাক পরে দেখবো আমাদের বর্তমানে কোনো টিমের গাড়ী নাই।
স্থানীয়রা বলেন, পল্লবী থানায় ওসি দাদন ফকির থাকা কালিন সময়ে এলাকায় চুরি ছিনতাই মাসেও শুনিনি বর্তমানে তো সন্ধ্যা হলেই রাস্তায় বেড় হওয়াটাও নিরাপদ নয়।
পল্লবী থানার ফোকাল পয়েন্ট অফিসার এস আই আরিফুল ইসলাম বলেন, আগে আমাদের পুলিশের টিমের গাড়ী ছিলো এখন কোনো টিমের গাড়ী নাই তাই অপরাধীদের নাগাল পেতে আমাদের বেগ পোহাতে হয়।